নাজিম হাসান………………………………………………………….
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় অবৈধ ভাবে আইন অমান্য করে সোনা গলানোর গড়ে ওঠা লাইসেন্স বিহীন স্বর্ণের দোকান গুলোতে অবাধে এসিড পোড়ানো হচ্ছে । ঐ দোকান গুলোতে এসিড পোড়ানোর কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণের মধ্যে শ্বাস কষ্টে ভুগছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ জুয়েলারির কারখানার মালিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত্য না হয়ে তাদের এ ব্যবসা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ ভ‚ক্তভোগীদের।কারখানা গুলো থেকে নির্গত হচ্ছে এসিড পোড়ানো গ্যাস। গ্যাসের তীব্র বিষক্রিয়ায় রয়েছে স্বাস্হ্য ঝুঁকিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বাগমারায় অধিকাংশ জুয়েলারি কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই।এসিড ব্যবহারের নিতীমালা ত মানছে না কেউ। এলাকা বাসী সূত্রে জানা গেছে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা, ভবাণীগঞ্জ পৌরসভা, শিকদারী বাজার, মসমইল হাট, বাই গাছা হাট, মহনগঞ্জ হাট, মাদারীগঞ্জ, হাট গাঙ্গোপাড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে এক শ্রেণীর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ও দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ছোট- বড় অসংখ্য লাইসেন্স বিহীন স্বর্ণের দোকান গড়ে তুলেছে । তারা সরকারী আইনের প্রতি বুদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী দিন রাত ২৪ ঘন্টা অবাধে স্বর্ণ গলাতে এসিড পোড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে । অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাধ্যতা মূলক থাকতে হবে। এবং স্বর্ণের দোকান গুলোতে ২০ ফুট উচু চিমনি ও স্বর্ণ তৈয়ারীর নিজস্ব কারখানা থাকতে হবে কিন্তু সরকারী নিয়ম নীতির বালাই নাই এ এলাকার স্বর্ণের দোকান গুলোতে।
যত্রতত্রভাবে এসিড পোড়ানোর ফলে এসিডের গন্ধে প্রতিদিন হাট বাজারে আসা ইস্কুল/ কলেজ/ মাদ্রাসা সহ সাধারণ মানুষ নাকে রুমাল দিয়ে এসিড পোড়ানোর গন্ধ থেকে অতি কষ্টে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে এবং অনেকে এসিড পোড়ানোর কারণে শ্বাস কষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। এ ব্যপারে অচিরে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা স্বর্ণের দোকান গুলোতে এসিড পোড়ানো বন্ধের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।#