1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা আব্দুল বাতেন বাঘায় গরু কেনা প্রায় শেষ, এখন ছাগলে তোড়জোড়, সরকারি রেটে খাজনা আদায়ে স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা বাঘায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাপার বৃক্ষরোপণ পলাশবাড়ীতে এলজিইডি’র (GRRIIP) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন রাজশাহীতে প্লাস্টিকমুক্ত কৃষি উপকরণ মেলা বাঘায় পার্টনার কংগ্রেস এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঈদুল আযহা উপলক্ষে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দশ দিন বন্ধ ভোলাহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিমুদ্দিন চলে গেলেন না ফিরার দেশে! নগরীর ১২ টি হাটের পশু ক্রেতা- বিক্রেতার নিরাপত্তা প্রদানে সিটি হাট পরিদর্শনে আরএমপি পুলিশ কমিশনার

নাটোরের লালপুরে ভ্যাপসা গরমের সাথে সাথে তালের শাঁস বিক্রির ধূম

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২
  • ৩৭৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর থেকে………………………….

নাটোরের লালপুরে প্রচন্ড গরম পড়ছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। এই গরমে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুস্বাদু তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই প্রিয় এই শাঁস। জ্যেষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে এ ফলটি।

শুক্রবার (২৭শে মে) লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া বাজার,ভেল্লাবাড়ীয়া মাজার মসজিদ সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে খেতে সুস্বাদু এই তালের শাঁস ফলটি রাস্তার মোড়ে, ফুটপাথ কিংবা হাট-বাজারে বিক্রির জন্য এই কচি তাল বাজারে তুলেছেন।এ সময় আরও চোখে পড়ে বিক্রেতারা হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছে।

লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া বাজারে হাসান আলী নামের এক তালশাঁস বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১২ টাকায় বেচাকেনা হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি দাম ৫ থেকে ৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে ক্রয় করতে হয় এবং ক্রয়ের পরে সেগুলো গাছ থেকে নামিয়ে বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করি।

তিনি আরোও জানান, বাজারে আসা অসংখ্য ফলের চেয়ে তাল শাঁসের বৈশিষ্ট্য আলাদা। একটি তালে ২-৩টি বীজ বা আঁটি থাকে।পরিপক্ব হওয়ার আগে সুস্বাদু তাল শাঁস তুলতুলে থাকে।মূলত তালের ভেতরে নরম তুলতুলে শাঁসই তালকোর বা তাল শাঁস। এটি ঠান্ডা ও মিষ্টিজাতীয় সুস্বাদু খাবার। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। গরমের দিনে পিপাসা কাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় তালের শাঁস দিয়ে।

অপর দিকে ভেল্লাবাড়ীয়া মাজার মসজিদ মাঠে তাল বিক্রেতা আমজাদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শাঁস।আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেও অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্তা তাই বাজারে এর কদরও বেশি।পাড়া মহল্লায় ভ্যানে নিয়ে ফেরি করেও অনেকে বিক্রি করেন বলে জানান।

তাল শাঁসের গুনাগুণ সম্পর্কে লালপুর উপজেলার কৃতি সন্তান জয়দেবপুর ডাল গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.ওমর আলী বলেন,পুষ্টিবিদ দের মতে,১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২.৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ,ক্যালরি থাকে ২৯,শর্করা ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি থাকে ৪ মিলিগ্রাম। মৌসুমি ফল হিসেবে তাল শাঁস মানব দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে দুরে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তালের শাঁস কিনতে আসা তাসলিম,জুবায়ের ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন জানান,অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল,তখন তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোয়া লাগেনি। এ জন্য প্রতি বছর আমরা ও আমাদের পরিবারের সকলে খায়। এগুলো খেতে নরম ও সুস্বাধু এবং শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।#

এডিট: আরজা/১

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট