1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
পাবনা-৪ আসনের ভোটাররা  ক্লিন ইমেজের র্প্রাথীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছে  দুর্গাপুরে আলেম সমাজকে নিয়ে জামায়াতের উলামা সমাবেশ পারিবারিক আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা: বিএসএফ–বিজিবির সমন্বয়ে মরদেহ দেখার সুযোগ কবিতা……….. বেগম জিয়া সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নেত্রী: রাজশাহীতে দোয়া মাহফিলে মিনু কালীগঞ্জে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন শ্যামনগরে প্রতিবন্ধিতা উত্তরণ মেলা সমাপনী ও সম্মাননা ক্রেষ্ট বিতরণ নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক কমিটির নির্বাচনে সভাপতি আনোয়ার সম্পাদক মোস্তফা বাঘায় গ্রাম্য শালিসে জমি নিয়ে ষাট বছরের বিরোধ নিষ্পত্তি শ্যামনগরে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার হ্রাসের দাবিতে মানববন্ধন

নাটোরের লালপুরে ভ্যাপসা গরমের সাথে সাথে তালের শাঁস বিক্রির ধূম

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২
  • ৪৭০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর থেকে………………………….

নাটোরের লালপুরে প্রচন্ড গরম পড়ছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। এই গরমে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুস্বাদু তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই প্রিয় এই শাঁস। জ্যেষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে এ ফলটি।

শুক্রবার (২৭শে মে) লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া বাজার,ভেল্লাবাড়ীয়া মাজার মসজিদ সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে খেতে সুস্বাদু এই তালের শাঁস ফলটি রাস্তার মোড়ে, ফুটপাথ কিংবা হাট-বাজারে বিক্রির জন্য এই কচি তাল বাজারে তুলেছেন।এ সময় আরও চোখে পড়ে বিক্রেতারা হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছে।

লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া বাজারে হাসান আলী নামের এক তালশাঁস বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১২ টাকায় বেচাকেনা হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি দাম ৫ থেকে ৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে ক্রয় করতে হয় এবং ক্রয়ের পরে সেগুলো গাছ থেকে নামিয়ে বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করি।

তিনি আরোও জানান, বাজারে আসা অসংখ্য ফলের চেয়ে তাল শাঁসের বৈশিষ্ট্য আলাদা। একটি তালে ২-৩টি বীজ বা আঁটি থাকে।পরিপক্ব হওয়ার আগে সুস্বাদু তাল শাঁস তুলতুলে থাকে।মূলত তালের ভেতরে নরম তুলতুলে শাঁসই তালকোর বা তাল শাঁস। এটি ঠান্ডা ও মিষ্টিজাতীয় সুস্বাদু খাবার। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। গরমের দিনে পিপাসা কাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় তালের শাঁস দিয়ে।

অপর দিকে ভেল্লাবাড়ীয়া মাজার মসজিদ মাঠে তাল বিক্রেতা আমজাদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শাঁস।আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেও অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্তা তাই বাজারে এর কদরও বেশি।পাড়া মহল্লায় ভ্যানে নিয়ে ফেরি করেও অনেকে বিক্রি করেন বলে জানান।

তাল শাঁসের গুনাগুণ সম্পর্কে লালপুর উপজেলার কৃতি সন্তান জয়দেবপুর ডাল গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.ওমর আলী বলেন,পুষ্টিবিদ দের মতে,১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২.৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ,ক্যালরি থাকে ২৯,শর্করা ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি থাকে ৪ মিলিগ্রাম। মৌসুমি ফল হিসেবে তাল শাঁস মানব দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে দুরে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তালের শাঁস কিনতে আসা তাসলিম,জুবায়ের ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন জানান,অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল,তখন তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোয়া লাগেনি। এ জন্য প্রতি বছর আমরা ও আমাদের পরিবারের সকলে খায়। এগুলো খেতে নরম ও সুস্বাধু এবং শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।#

এডিট: আরজা/১

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট