# পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি………………………………..
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পুনর্ভবা নদি ঘেঁষে কৃষকদের প্রায় শত বিঘা জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উজান থেকে নেমে আসা ও ঢলের পানিতে সীমান্ত ঘেঁষা পুণর্ভবা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ফলে জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে বলে জানাগেছে। বিশেষ করে নিতপুর ও ছাওড় ইউনিয়নের পুনর্ভবা নদি এলাকার অনেক গ্রামের অসহায় কৃষককে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমিতে গিয়ে ধান না নিয়ে ফিরিয়ে আসতে হয়েছে। অনেক কৃষককে আবার তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ধান সংগ্রহ করতেও দেখা গেছে। এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে সীমান্তবর্তী গ্রাম সুহাতি, নিতপুর, পশ্চিম দুয়ারপাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অসহায়ের মত জমির দিকে ছুটছেন। পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি হচ্ছে পারঘাটি, রংসদা বীল, লিলমারি, মাটিকাটা বীল এলাকা। এলাকা গুলির ধান কেটে কৃষকরা পানির মধ্যেই স্তুপ করে রেখেছেন। এতে জমির ধান বেশীর ভাগ ন্ষ্ট হয়ে যাবে বলে তারা বলছেন।
নিতপুরের কৃষক নুরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, আকবর আলী জানান, বীলগুলিতে তারা কয়েক বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলেন। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে দেরি হওয়ায় দু-একদিনের মধ্যে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তাদের এবং অসংখ্য কৃষকের জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জমি থেকে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেনি। কৃষকরা জমির ধান কেটেছিলেন হঠাৎ ঢলের পানিতে কাটা ধানগুলোও অনেক ভেসে চলে গেছে। দ্রুত বিলের পানি নেমে না গেলে কোন কৃষকই মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে পারবেন না। এতে কৃষকরা মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে তারা জানান।
নাহিদুল নামে এক কৃষক জানান, তার ৬-৭ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে এখন যতটুকু পাই ততটুকু সংগ্রহের চেষ্টা করছি বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, ওই এলাকায় ১০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ পানির নিচে রয়েছে। যদি পানি নেমে না যায় তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আর যদি দ্রæত পানি নেমে যায় তাহলে খুব বেশী ক্ষতি হবে বলে তিনি মনে করছেন না। তবে কৃষকগণ দুশ্চিন্তায় আছেন এটা নিশ্চিত বলে তিনি জানান।#