1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রাসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের  বিদায় সংবর্ধনা রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত ১০টি চার্জার রিক্সা আটক নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর “সুমন” হত্যাকাণ্ডের জড়িত প্রধান আসামী বুলবুল গ্রেফতার  কোরআন মেনে চলার মাধ্যমেই আমাদের মুক্তি -সাংবাদিক রানা মন্তব্য প্রতিবেদনঃ আমি মুক্তভাবে প্রমানসহ সংবাদ প্রকাশ করতে চায়, এটা আমার অধিকার  নড়াইলে আসামিদের ভিডিও করায় সময় টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা তানোরে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএনপির কর্মীসভা টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল  পরীমণির নতুন প্রেমিক কে? মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতে মমতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২ কোটি নিয়ে উধাও ডোভা এনজিও’র পরিচালক

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ২৪০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি…………………………….

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন ডোবা নামে এক এনজিও’র পরিচালক। আর এফডিআরের টাকা চাইতে গিয়ে নারী নির্যাতনের মামলার শিকার হয়েছেন ৭জন গ্রাহক। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ১৫ রশিয়া ফাউন্ডেশন (পিএফ)।

এদিকে, নারী নির্যাতনের শিকার এনজিও’র গ্রাহক মনাকষা আনক কামিল মাদ্রাসার পিয়ন ও খড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, হায়রে আমাদের দূর্ভাগ্য যে লাভের আশায় এনজিওতে এফডিআর খুলে ৪ লাখ ৩০ হাজার জমা দিয়েছি। লাভ তো দূরের কথা মূল টাকা চাইতে গিয়ে আমি সহ ৭জন সাজানো নারী নির্যাতনের মামলায় দীর্ঘদিন যাবত হয়রানী হচ্ছি।

অন্যান্য আসামীরা হলেন, আফতাব উদ্দিন মাস্টার, সামায়নতুল্লাহ, হাবিবুর রহমান, ফরজুন আলী, আলকেশ আলী, মিজানুর রহমান ও মন্টু। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে আমাদের ১৩০জন এফডিআর গ্রাহকের প্রায় ২কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় শাখা ব্যবস্থাপক সোহেলের সহযোগিতায় ডোভা (আগের দেশ নামে ছিল) এনজিও পরিচালক জাইরুল ইসলাম। এ টাকা চাইতে গেলে পরিচালক জাইরুলের সাথে আতাঁত করে সোহেল আমাদের ওপর পাল্টা মামলা করে হয়রানী করছে। তিনি আরো জানান, প্রতি লাখে মাসিক ১৫’শ টাকা হারে এফডিআর করলে তারা প্রথম মাস লাভের টাকা আমাকে দিয়েছে। পরে তারা অফিস ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু সাইফুদ্দিন নয়, এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী রেহেনা বেগমের ৫০ হাজার টাকা, পারচৌকা গ্রামের একরামের ছেলে গোলাপের ৬ লাখ টাকা, খড়িয়াল গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে তোফিকুল ইসলামের ২লাখ ৮০ হাজার টাকা, মনাকষার গৌতম নাপিতের ৫লাখ টাকা, পারচৌকা গ্রামের মালেকের স্ত্রীর ১১লাখ টাকা সহ মোট ১৩০জন এফডিআর গ্রাহকের প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।

তারা জানান, এফডিআর ছাড়া আরো প্রায় ৬’শ জন সাধারণ গ্রাহকের ২০/২৫লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। তবে প্রায় ১ শ’৫০জন সদস্যের কাছে তাদের বিনিয়োগ ছাড়া আছে প্রায় ৬৫লাখ। যে গুলো তারা গোপনে গোপনে আদায় করছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্র জানায়, শুধু মনাকষা নয়, ডোভার প্রায় ১৪টি শাখা মধ্যে বেশীর ভাগ শাখা গুটিয়ে নিয়ে এভাবেই গ্রাহকের প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে আছে।

অন্যদিকে অফিসের জন্য ভাড়া দেয়া ঘরের মালিক মাহবুব আলম এম জানান, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এ এনজিওটি পলাতক রযেছে। তখন থেকে আমাকে ঘরের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল কিছুই দেয়নি। এমনকি অফিসও ছাড়েনি। তিনি জানান, ২০১৭সালে ১ হাজার ৮শ’ টাকা মাসিক ভাড়ার চুক্তিকে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অফিসের কাজ শুরু করে। ২০১৯সালে আরো ১টি ঘর সহ মাসিক ৩ হাজার ৩’শ টাকা ভাড়া চুক্তি করে ১লাখ টাকা জমানত দেয়। বর্তমানে শাখা ব্যবস্থাপক সোহেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে জানাই চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। আমার কোন দায়দায়িত্ব নেই। তাই নিরুপায় হয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে ১জন ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে তাদের মালামালগুলো অন্য ঘরে গুছিয়ে রেখে অপরজনকে ঘর দুটি ভাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপক সোহেল বলেন, আমি চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। তাই আমার কোন দায়দায়িত্ব নেই। তবে তিনি স্বীকার করেন যে ডোভা নামে এনজিও পরিচলাক জাইরুল ইসলাম মনাকষা শাখার ১শ’৩০জন এফডিআর ও ৬’শ জন সাধারণ গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। এব্যাপারে পরিচালক জাইরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে তার ০১৭৯৬১২০১০৯ নম্বর বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে এদিকে, পবিত্র ঈদ-উল ফিরতের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ১৫ রশিয়া ফাউন্ডেশন (পিএফ)। সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন যার নিবন্ধন নং স.সে.অ. নবাব-৪৯৫/১৫ এই এনজিও শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাসেরহাটে প্রধান কার্যলয় করে ২০১৪ সাল থেকে অবৈধভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসলেও হঠাৎ করে ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে এই এনজিওটি পরিচালক বিনোদপুর ইউনিয়নের রসুনচর গ্রামের মো. আসদাক আলী মাস্টার ও শাখা ব্যবস্থাপন তাঁর ছেলে আশিক রাতের আধাঁরে অফিস গুটিয়ে উধাও হয়েছেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট