আরিফুল ইসলাম জয়, কুড়িগ্রাম…………………………………
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ফুলকুমার, কালজানি, গঙ্গাধর ও সংকোষসহ সব কটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রাম অফিস সূত্র জানায়, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (২৯ জুন) রাতে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী চর ও ডুবো চর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি,চরভুরুঙ্গামারী,ও বলদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে শাক-সবজি, পটল, মরিচ, পাট ক্ষেত সহ অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে গবাদিপশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এতে করে আসন্ন কুরবানী ঈদের গবাদিপশু বিক্রিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বলেন, বন্যার পনি চতুরদিকে থৈথৈ করছে। পানিতে গবাদিপশুর খাবার যোগাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে গুরুর সাস্থ্য কমে যাওয়ায় সম্ভবত ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো না।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের নিনমজুর আব্দুল গনী বলেন, কয়েকদিন আগের বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর এখনো মেরামত করতে পারিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২য় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।#