আবুল কালাম আজাদরা, রাজশাহী……………………………………………..
দীর্ঘ প্রতিরক্ষার পর অবশেষে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েলগজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে বগুড়া অংশে ভুমি অধিগ্রহণ করা হবে ৫০০ একরের কাছাকাছি। ইতোমধ্যে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহণের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
প্রত্যাশিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বগুড়ার সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের দূরত্ব কমবে। একইসঙ্গে দূরত্ব কমবে রংপুরের সঙ্গেও। যা দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পৌঁছে দেবে ভিন্ন উচ্চতায়।
প্রকল্প সংশিশ্লষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী রেল স্টেশন পর্যন্ত ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে মূল লাইন তৈরি করা হবে ৮৬ কিলোমিটার, আর লুপ লাইন ১৬ কিলোমিটার। এছাড়া ৫টি জংশন স্টেশন এবং ৫টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, বগুড়া, কাহালু, রানীর হাট, সিরাজগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের মুনসুর আলী হবে জংশন স্টেশন। নতুন স্টেশন হবে বগুড়ার শেরপুর, আড়িয়া, ছোনকা এবং সিরাজগঞ্জর চানাদাইকোনার কৃঞ্চদিয়ায়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শুধু বগুড়া-ঢাকা রেল ভ্রমণে দূরত্ব কমবে না বর্তমান সময়ের তুলনায় বগুড়া থেকে ঢাকায় যেতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। রেলপথে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ১১২ কিলোমিটার। একইসঙ্গে রংপুরের সঙ্গেও দূরত্ব কমবে ঢাকার।
বগুড়া জেলা প্রশাসন জানায়, এই প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিলের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত ১৪ নভেম্বর (সোমবার) প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে। এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উজ্জল কুমার ঘোষ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আমির সালমান রনি এবং বগুড়া- শহীদ এম মনসুর আলী ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উপদেষ্টা মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি, প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজিসহ বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেএমসি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিলের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে বগুড়ার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আমির সালমান রনি জানান, কিভাবে প্রস্তাব দাখিল হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়। এই প্রকল্পের জন্য বগুড়া অংশে প্রায় ৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজি জানান, ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিলের ক্ষেত্রে যেন কোনো জটিলতা ও ভুল না থাকে, সেজন্য প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তাবয়নের ক্ষেত্রে এটি চূড়ান্ত সর্তকতা। গত ১৩ নভেম্বর (রোববার) সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও একই ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডিসম্বরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প বাস্তাবায়নে আগামী বছরে দরপত্রসহ প্রকল্পের অন্যান্য কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন।#