# সবুজনগর অনলাইন ডেস্ক………………….
আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার মীনা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’। বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরে পড়া রোধকল্পে অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি।
সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব-এশিয়ার দেশসমূহে দিবসটি উদযাপিত হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে-ঢাকা পিটিআইতে (মিরপুর-১৩)- সকাল ৯টায় আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এছাড়াও দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্বগণ শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ও মীনা বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
মীনা একটি উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম। মীনা কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর। এই কার্টুনের আরও দু’টি চরিত্রের নাম মিনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু।
লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচতেনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। কার্টুনটি বাংলা, ইংরেজী, উর্দু, হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। এর ¯্রস্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটিও শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। বাংলাদেশে ইউনিসেফের বড় অর্জন গুলোর একটি ‘মীনা’।
উল্লেখ্য, সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব-এশিয়ার দেশসমূহে দিবসটি উদযাপিত হয়।#