মো. শাহাদত হোসেন খোকন/শাহরিন সুলতানা সুমা, গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধা জেলার কালিতলা সরকারী প্রাথমিক নানাবিধ সমস্যা জর্জরিত। রুগ্ন সুগ্ন হয়ে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ শিক্ষারমান উন্নয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না- কিন্তু কেন? কেন সরকারে বিমাতাসূলভ আচরণ তা এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকগণ বুঝতে পারছেন না।
সরকার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বেশ তৎপর বলে সবাই জানে। সেভাবে সরকার এবং সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করলেও এধরণের গ্রামঅঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার ও শিক্ষামন্ত্রণালয়। ফলে এধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছে করলেও ভাল ফলাফল করতে পারছে না। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাদ দিয়ে শিক্ষার অগ্রগতি সম্ভব নয়। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তানা হলে শিক্ষিত জাতি তথা শিক্ষিত নাগরিক আশা বৃথা হবে।
কালিতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত যেসব বিদ্যালয় আজও অবহেলিত সেবসব প্রতিষ্ঠানের প্রকট সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরো তৎপর হওয়া দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
কালিতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বহুবিধ সমস্যায় আবর্তিত। ডবল শিফটে ক্লাশ চললেও ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২ শতাধিক হওয়ার পর নূন্যতম সমস্যাগুলো সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রালয় এগিয়ে আসছে না। নেই সীমানা প্রচীর, নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে বাইরের ছেলে মেয়েরা খুব সহজেই বিশৃংখলা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া এ বিদ্যালয়ের একটি সুবিশাল খেলার মাঠেরও প্রয়োজন।
কালিতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এলাকাবাসি কয়েক দফা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ আজও হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমস্যা দূরীকরণে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না তা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী ওয়াকিবহাল নয়। এলাকার শিক্ষানুরাগী ও জ্ঞানীরা স্কুলের সকল সমস্যা নিরনে সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে।#