ক্যাপশন: শীত আসন্ন, আত্রইয়ে লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
# কামাল উদ্দিন টগর, আত্রাই, নওগাঁ থেকে………………………….
শীতের আগমনি বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডাভাব পড়েছে। এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই নওগাঁর আত্রাইয়ে লেপ তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ তোষক তৈরিতে।
উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনা মূলক শীতের প্রভাব বেশি থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর- অক্টোবর থেকেই। আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার, আত্রাই চার রাস্তার মোড় রেলিব্রাদাস পট্টিতে গড়ে উঠা লেপ তোষক বানানোর পল্লীতে বারো—চৌদ্দ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। এতে লেপ- তোষক প্রতি মজুরী হিসেবে তাদের ভাগ্যে জোটে ছোট- বড় অনুযায়ী দুই শত থেকে তিন শত টাকা।
লেপ- তোষক বানানোর কারিগর মোঃ সিহাব আলী, রফিকুল ইসলাম, রমজান আলী জানান, সাইজ অনুযায়ী ও প্রকার ভেদে এবার লেপ-তোষকবানাতে খরচ পড়ছে এক হাজার ছয় শত থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। মজুরি তুলাসহ লেপ-তোষকের দাম গড়ে পাঁচ শত টাকা বৃদ্ধি পেয়েছেন। তুলা সহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহীত জিনিষ পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দামগড়ে পাঁশ শত টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।
মোঃ বাচ্চু মিঞা শাকিব বেডিং ষ্টোরের মালিক জানান, বর্তমান বাজারে গামেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক পাঁচ শত থেকে নয় শত টাকা এবং ডবল তোষক সাইজ অনুযায়ী এক হাজার পাঁচ শত থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল চার শত টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাত শত টাকা। গামেন্টস ঝুট গত বছর পঁচিশ/ ত্রিশ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার আশি/নব্বই টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা বাচ্চু।
অন্যান্য তুলাও কেজি প্রতি ষাইট/ সত্তর টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।#