লিয়াকত হোসেন: রাজশাহীর পবা উপজেলায় ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। পরে কৃষকদের প্রতিরোধের মুখে পুকুর খননের স্কেভেটর আটকিয়ে দিলে তারা স্কেভেটর রেখে চলে যেতে বাধ্য হয় চক্রটি। গত বৃহস্পতিবার (৫ই ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হুজুরি পাড়া ইউনিয়নের দারুশা সাহাপুর গোরস্থান সংলগ্ন বেননা বিলে এই প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। চক্রটির মুল হোতা পবা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শরিফ ও রাজশাহী মহানগরীর আমচত্বর এলাকার আজিজুল হাজী।
আব্দুল লতিফের ছেলে কৃষক আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, এই জমিতে ৩০ মন করে ধান হয় সারা বছরের খাদ্যের যোগান দেই আমাদের এই জমিতে আম পুকুর কাটতে দিবো না জমি হাত ছাড়া হলে না খেয়ে মরতে হবে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা বলেন, আমাদের ওই বিলে তিন বিঘা জমি আছে ৩ বছর আগে আমাদের জমিতে পানি উঠতো তাই পুকুরের জন্য জমি দিতে চেয়েছিলাম। এখন জমিতে ধান হয় তাই পুকুর কাটতে জমি দিবো না। টাকা ফেরত দিতে চাইলে টাকা ফেরত না নিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তার পরেও জোরপূর্বক পুকুর খননের জন্য ভেকু মেশিন নিয়ে এসেছে আমরা এলাকাবাসি মিলে ভেকু মেশিন আটকে দিয়েছি।
রাধানগর এলাকার মানিক মন্ডলের ছেলে ওসমান আলী বলেন, আমাদের তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন করলে একদিকে আমরা কৃষকরা আমাদের জমি হারাবো অপর দিকে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। সেই সুযোগে পুকুর খননকারী চক্রটি অন্যান্য জমি তাদের দখলে নিতে সুবিধা হবে। এটা আমারা গ্রামবাসী হতে দেবনা।
এছাড়াও তিনি পুকুর খননকারী চক্রে বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে চক্রটির মূল হোতা শরীফ বলেন, এই জমিতে সব সময় জলাবদ্ধ থাকে তাই পুকুর খনন করতে চেয়েছিলাম দুই বছর আগে টাকাও দিয়েছি যদি কেউ জমি দিবোনা বলে তাহলে টাকা ফেরত নিয়ে নেবো আমরা কোন পুকুর টুকুর কাটবো না। জোর করে তো আর কোন কাজ করা যায় না। তবে আজিজুল হাজির জড়িতর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, আমার বিষয়টি জানা নাই আপনি জানালেন খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে দেখে কারো জমি জোর করে শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা হয় সেক্ষেত্রে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#