ছবি: সাংবাদিক নাজিম হাসান
# নাজিম হাসান……………………………………
রাজশাহীর বাজারে এলো সুস্বাদু আম গোপালভোগ,লক্ষণভোগ ও রাণিপছন্দ। গত বুধবার থেকেই চাষিরা এসব জাতের আম গাছ থেকে পাড়তে শুরু করেছেন। এখন বাজারে গুটি জাতের আমের পাশাপাশি গোপালভোগ ও লক্ষনভোগ বিক্রি হচ্ছে। তবে সীমিত পরিসরে এসেছে রাণীপছন্দ আম। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়ার বানেশ্বর।
এই হাটে আম বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আম বেশি উৎপাদন হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের বেধে দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৮ মে বাজারে আসবে খিরসাপাত ও হিমসাগর। এরই মধ্যে আমের হাট জমে উঠেছে। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা আসতে শুরু করেছেন। তারা আম কিনছেন। সরেজমিনে বানেশ্বর হাটে গোপালভোগ ও বিভিন্ন ধরনের আটিঁর আমের সঙ্গে লক্ষণভোগ বা লখনা জাতের আম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমণ লখনা জাতের আম সর্বনি¤œ ৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক আম আসছে। আনুমানিক ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার ক্যারেট আম এই বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে বাজারে আমের সরবরাহ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ী ও চাষীদের মুখে। বানেশ্বরের আমের আড়ৎদার জানান, শনিবার থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, খুলনা থেকে পাইকারি ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন।
প্রথম দিনেই ৫ থেকে ৬ হাজার ক্যারেট লক্ষণভোগ আম বাজারে উঠেছে। গোপালভোগ, লক্ষণভোগ ও বিভিন্ন আটিঁর আমসহ ১০ হাজার ক্যারেট অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার মণ মন আম এসেছে। রাজশাহীর আম এখন কুরিয়ার সার্ভিস ও অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিদেশেও যাচ্ছে। এজন্য গোপালভোগ আমের দাম বেড়ে সর্বনি¤œ ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের আটিঁর আম ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজশাহীতে গাছ থেকে আম নামানোর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ২৮ মে খিরসাপাত-হিমসাগর, ৬ জুন ল্যাংড়া, ১৫ জুন আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই বারি-৪ ও আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গোলমতী, ২০ আগস্ট ইলমতি আম চাষিরা গাছ থেকে নামাতে পারবেন। রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন। সেই হিসাবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।#