নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
স্বরাষ্ট উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ কোন দলের তল্পিবাহক হয়ে কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অনায্য ও অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না। এ রাষ্ট্র সকল নাগরিকের কোন দলের নয়, কোন গোষ্ঠীর নয়, কোন সমপ্রদায়ের নয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশ রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে। আজকের এই সমাপণী অনুষ্ঠানে আপনারা এই শপথে বলীয়ান হবেন।
রোববার (২৩ ফেব্রæয়ারী) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি রাজশাহীর সারদায় অনুষ্ঠিত ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্র সকল নাগরিকের, কোনো একটি দলের, গোষ্ঠী বা স¤প্রদায়ের নয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী হিসেবে সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ বা বেআইনি কাজ করবে না।
এ সময় তিনি নতুন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আজ থেকে আপনি সবাই সুনিপুণ প্রশিক্ষিত এবং চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে মাঠে নামবেন। এই নতুন জীবন শুরু করার আগে আপনাদের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন,পুলিশ বাহিনীকে আমরা চাই এমনভাবে কাজ করতে, যাতে সাধারণ মানুষ থানায় গিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। নাগরিকদের সেবা প্রদান এবং ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠায় সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, আইজিপি বাহারুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা। বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় রুহুল আমিন লাবু এবং এম. সায়েলিনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্যারেড অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ জাওয়াদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, অতিরিক্ত আইজপি আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
এই ব্যাচের ৬৬ জন প্রশিক্ষনার্থী ছিলেন। তাদের চার মাস আগে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে যায় সমাপনি কুচকাওয়াজ। এরই মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে এ ব্যাচের ৬ শিক্ষানবিশ সহকারি পুলিশ সুপার অব্যহতি দেওয়া হয়।#