হাজী জাহিদ: বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে রাজস্ব ফাঁকির এক কুচক্রী মহল নরসিংদীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয়। চায়না, জাপান, কোরিয়া থেকে এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) মাধ্যমে টেক্সটাইল বয়লার ও যন্ত্রাংশ আমদানি করে নিজের কারখানায় ব্যবহারের কথা বললেও, এসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। নরসিংদীর টাক্কু মমিন, আল ফারুক সরকার, এবং ইমরানসহ আরও বেশ কয়েকজন এলসি ব্যবসায়ী এমন অপকর্মে জড়িত। তারা এলসির মাধ্যমে ট্যাক্স ফ্রি অথবা অতি স্বল্প ট্যাক্স দিয়ে পণ্য আমদানি করে। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো মাধবদী, গোপালদী, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনায় পাইকারি বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫৩টি মামলা করেছে, যার অধিকাংশ উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এই জালিয়াতি থেকে তারা শত কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছে। এই অর্থের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সাথে হাত মিলিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, রাজিব সরকার , টাক্কু মমিন, আল ফারুক, রমিজ উদ্দিন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়ে দমন করেছে। এই আন্দোলন দমনে তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। এল সি জালিয়াতি করে তারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। টাক্কু মমিন রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে কিন্তু তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে । ছাত্র হত্যার সাথে তারা জড়িত এ ধরনের কার্যকলাপ দেশের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে বাজারের স্বাভাবিক মূল্য ও প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এই অবৈধ ব্যবসায়ীরা। সরকারের উচিত এই কুচক্রী মহলের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ট্যাক্স ফাঁকি, কালোবাজারি, এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের স্বার্থে এই জালিয়াতি ও দুর্নীতির শিকড় তুলে ফেলে দেওয়া প্রয়োজন।#