মন্তব্য প্রতিবেদন: দেশে খাদ্যদ্রব্যের চরম উর্দ্ধগতি, সাধারণ মানুষের হাউকাউ
-
প্রকাশের সময় :
মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২
-
১৭১
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# জামান আহমেদ…………………………………
সারাদেশে চলছে চরম অস্থিরতা।সাধারণ মানুষতো দূরের কথা মধ্যবিত্তরা পড়েছে চরম বিপাকে।ধান, চাল, আটা, তেল, শাকসবজিসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ হতবাক।কারো কিছু করার এখতিয়ার না থাকলেও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। আশংকা করা হচ্ছে খাদ্যদব্যের দাম আরো বাড়তে পারে।সংকট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে এসব প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে না পারলে সরকারকে চরম সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।
বাজারে যেতে পারছেনা নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।তারা কুলিয়ে ঊঠতে পারছে না বাজারের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সাথে। তারা যে সামান্য আয় করছে তাতে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া, বই-পুস্তক, পোশাক কেনাতো দূরের কথা নুন আনতে পানতা ফুরায় এঅবস্থা।তারা দেশের উন্নয়নের সাথে একাত্ম হয়ে জয়ের গান গাইতে পারছে না। দেশ যখন তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীলদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে তখন দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের লোকদের বেঁচে থাকা চরম কষ্টের।
বাজারে সকল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু দাম খুব চড়া। খুচরা মূল্য মোটা চাল ৫৬-৬০টাকা কেচি প্রতি, সোয়াবিন তেল ২১০-২২০টাকা, সরিসার তেল-৩৫০-২৬০টাকা কেজি। কেজি প্রতি আটা ৪০-৪৫ টাকা, মুসরের ডাল-১২০টাকা (মোটা) কেজি, ডিম-৪০-৪৫টাকা হালি, ব্রয়লার মুরগী- ১৬০টাকা কেজি, মাছ পাংগাস-১৭০-২০০টাকা, তেলাপুয়া-১৮০-২২০টাকা গরুর মাংস-প্রায় ৭০০টাকা কেজি। আলুর বাজার এখন উদ্ধমুখী। কেজি প্রতি আলু ৩০টাকা, বেগুন-৫০টাকা, পটল-৩৫-৪০ টাকা, কচু- ৭০-৮০টাকা, কাঁচা কলা-৩০-৩৫ টাকা হালি। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম রয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০-৫০টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।অর্থৎ ৩০-৪০টাকা কেজি দরের নিচে কোন সবজি বাজারে নেই।
যেভাবে খাদ্যভোজ্য পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে করে দেশে সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের হাহাকার বাড়ছে। কিন্তু নিরসনে কেউ এগিয়ে আসছে না।সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোসময় এ ক্ষোভ চরম আন্দোলনে রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করছে অনেকেই। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি যে কোন সময় ক্ষুন্ন হতে পারে। একারণে সরকারের উচিত অতিদ্রুত নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমিয়ে আনা।
খাদ্য দ্রব্যের দাম এভাবে কেন হুহু করে বাড়ছে তা অনুসন্ধান করতে হবে প্রশাসন তথা সরকারকে। খাদ্যদব্যের দাম কেন বেশি তা মনিটরিং করে চিহ্নিত করতে না পাললে সংকট আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। আর যারা সংকট সৃষ্টি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। চাল,ডাল, তেল নিয়ে যারা খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে, সিন্ডিকেট করে দেশে মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে তাদের বিচার করতে হবে বতর্মান সরকারকেই। এ সিন্ডিকেট কথায় কথায় দেশে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারের দক্ষ প্রশাসনকে।সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে সাধারণ মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের।এসব পণ্যের দাম যাতে মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে ধাকে তার সঠিক ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চায় না।অভাব মুক্ত দেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
সরকারের প্রশাসন বিভাগ সারাদেশের বতর্মান সংকট নিরসনে কাজ করছে তবে খুব ধীর গতিতে। প্রশাসনকে আরো সোচ্চার হয়ে শক্ত হাতে দায়িত্ব পালনে কাজ করতে হবে বলে আমরা মনে করি।স্বাধীন দেশে সোনার বাংলায় মানুষ খাদ্য সংকটের মুখোমুখী হতে চায় না।বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলায় দু’মুঠো পান্তাভাত খেয়ে গর্বের সাথে বাঁচতে চাই।যারা এধরণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে তাদের দমনে কঠোর আইন তৈরি করুন।
সরকারের কাছে আবেদন সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিন।যারা এঅপকর্মের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রমাণ করুন। প্রমাণ করুন্ এদেশে অনিয়ম দুর্নীতির কোথাও জায়গা নেই এবং কোন রকমের অনিয়ম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।মজুদদারদের আড়ৎ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনুন। আমাদের একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিন, যে দেশে হাহাকার, হাউকাউ থাকবেনা।#
এডিট: আরজা/০৮
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ