নিজস্ব প্রতিবেদক………………………………………………..
সাবেক স্ত্রীর মামলা ও হুমকি থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগি। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সংবাদিক ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি মাসুদ রানা মিলটন ও তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী মাসুদ রানা মিলটন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৯ সালে তার দোকানে মৌসুমি বেগম আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে ভালোবাসা। এসময় মৌসুমি জানায়- বিয়ে হলে অনৈতিক কর্মকান্ড ছেড়ে দেব। আমিও সরল মনে বিশ্বাস করি। জেলা রাজশাহীর নোটারী পাবলিকের নিকট সে আমার সাথে একটি অঙ্গীকার নামা সম্পাদন করে।
যাহার উল্লেখ্য সারমর্ম হচ্ছে বিবাহ পরবর্তী কালীন তিনি আর কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হইবেন না এবং যদিও বিবাহ পরবর্তীতে তিনি এই সকল কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন এইরূপ কোন প্রমান পাওয়া যায় তা হলে মাসুদ রানা মিলটন তাহার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে সেই মেয়ে কোন দেনমোহর, খোরপোষ বা কোনরূপ মামলা করতে পারবে না।
কিন্তু গত ৮ মাস (ফেব্রুয়ারি) আগে আমি তার অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারি। মেয়ে নিজে থেকেই আমাকে তালাক প্রদান করে। তার কিছু দিন পরে আমি তাকে তালাক প্রদান করি। তখন জানতে পারি সে আমাকে আগেই তালাক দেয়। এই ঘটনার জের ধরে মৌসুমি লোক সমাজে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে সে আমার কাছে টাকা দাবি করে।
আমি তাকে ৫০ হাজার টাকা দিলে সে উক্ত মামলা ২৪৮ ধারায় সে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করে। আর থানায় জি.ডি করে এবং আমার কাছে ২০ হাজার টাকার দাবি করে। টাকার বিনিময়ে উক্ত জিডি তুলে নেয়। পরবর্তীতে সে আবারো আমার নামে একাধিক মামলা দেয়। (মামলা নং ৯৭সি/২০২২ (রাজপাড়া)) । এছাড়া ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-২০২০) এর ৯ (১) ধারা যাহা বিচারাধীন আছে।
তিনি নিরুপায় হয়ে লিগ্যাল এইডে অভিযোগ দায়ের করি। সেই উক্ত লিগ্যাল এইডের বিচারও অমান্য করে আমার নামে মিথ্যা মামলা পরিচালনা করে আসছে। সে আমার কাছে প্রতিনিয়ত ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। কিছু দিন আগে তার ভাড়াটিয়া কিছু লোকজন দিয়ে দোকান ভাংচুর করেছে। পরবর্তীতে আমি রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
পরবর্তীতে আমার সাথে সে যোগাযোগ করে এবং মামলা তুলে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ঘরে আটকিয়ে রেখে ১ লাখ টাকা দাবি করে। তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। তার মোবাইল ফোনের ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট থেকে ১১ হাজার টাকা তার নাম্বারে ট্রান্সফার করে নেয়। আমার আত্মচিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় জনতা ছুটে আসে। আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরী করি (জি.ডি নং-১২২২, তাং-২১/১০/২০২২)। বর্তমানে পুনরায় মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে আরো বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জাড়াবে বলে ভয়ভীতি দেখায়।
এবিষয়ে মৌসুমি বেগম বলেন, ‘সে আমাকে (মৌসুমি) একবার ছাড়ে; একবার ধরে। কোর্টে একটা যৌতুকের মামলা আছে। এই মামলার আগামি (১০ নভেম্বর) হাজিরা আছে। এনিয়ে মাসুদ রানা জানায়, মামলা তুলে নাও বিয়ে করবো। কিন্তু বিয়ে করেনি। মামলা চলাকালীন সময়ে সে আমার সাথে শারীকি সম্পর্ক করেছে। বিয়ে না করায় আমি ধর্ষণ মামলা করি। এখন তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। #