# বাগমারা প্রতিনিধি…………………………
তাহেরপুর তদন্ত (পুলিশ) কেন্দ্র মাদক বিরোধী অভিযানে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল রানার বাড়ি থেকে ১৮ পিছ ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামরামা হ্যাচারী মোড়ে মাদক বিক্রয়ের সময় নাসির উদ্দীন নামে একজন কে আটক করে।
নাসির উদ্দীন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেউখালি গ্রামের সাখাওয়াত এর ছেলে। হ্যাচারী মোড়ে জনসাধারণের সামনে নাসিরের দেহ তল্লাশি করে ৫ পিছ ইয়াবা ও ১ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাকে আটক করে পুলিশ। নাসিরের দেওয়া তথ্য মতে তাহেরপুর (পুলিশ) তদন্ত কেন্দ্র আইসি জিলালুর রহমান সহ সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির বাড়ি গেলে উপস্থিত টের পেয়ে কাছে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সোহেল রানার ফেলে দেওয়া ব্যাগ থেকে ১৮ পিছ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
পলাতক সোহেল রানা (৩৬) চেউখালির চন্ডিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এলাকাবাসি দেওয়া তথ্য ও এজাহার সুত্রে জানাযায় সোহেল রানা দীর্ঘদিন থেকে ফেন্সিডিল ও ইয়াবার ব্যাবসা করে আসছিলো। বাগমারা উপজেলা ও পাশের জেলা নাটোর থেকে মাদকসেবিরা মাদক সেবন করতে আসতো সোহেল রানার কাছে। নাসিরকে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হোম ডেলিভারি দিয়ে আসছিলো দীর্ঘ দিন থেকে। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হওয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলতোন না।
ইতোমধ্যে যুবলীগ সভাপতি সোহেল রানার মাদক বিক্রয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুর মোল্লা বলেন, মাদকের কোন ছাড় নেই তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল খরাদি বলেন, বিষয়টি শুনেছি খুব দুঃখ জনক। একজন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাদকের সাথে যুক্ত সত্যিই অবাক করার মতো। তিনি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। সেই সাথে দোষী হলে এমন ব্যাক্তি যেন রাজনীতিতে স্থান না পায় উপজেলা যুবলীগ কাছে এটাই প্রত্যাশা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর (পুলিশ) তদন্ত কেন্দ্র আইসি জিলালুর রহমান বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসির উদ্দীন নামে একজনকে রামরামা হ্যাচারী মোড়ে মাদক সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক নাসিরের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোহেল রানার বাড়িতে অভিযানে গেলে উপস্থিত টের পেয়ে একটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে সোহেল রানা পালিয়ে যায়। এসময় তার ফেলে দেওয়া ব্যাগ থেক ১৮ পিছ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পলাতক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি আরো বলেন হয় মাদক ছাড়ুন না হয় বাগমারা ছাড়ুন।#