তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিএনপি বৈরি সম্পর্ক রেখেছিলো বলেই দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই সবসময় ভারসাম্যমূলক কূটনীতি বজায় থাকবে। ভারসাম্যের কূটনীতিতে এগিয়ে যাবে দেশ। জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করে সম্পর্ক রক্ষা করে না বর্তমান সরকার।’
সেতুমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। আর কোনো দুঃশাসনে ফিরতে চায় না এখনকার বাংলাদেশ। মিয়ানমারের কিছু অংশ ছাড়া আমাদের চারদিকে ভারত। সংশয়-অবিশ্বাসের দেয়াল যারা সৃষ্টি করেছিলো তা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা। আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান করতে পারবো আমরা। কিন্তু কোনো বৈরিতা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার টেবিলে সমাধান করবো। বন্ধুত্বপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক চাই। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে কারও সঙ্গে সস্পর্ক করবে না সরকার। ছিটমহল ও সীমান্ত সমস্যার মতো অনেক সমস্যার সমাধান কিন্তু অতীতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যে সীমান্ত সমস্যা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা পার্লামেন্টে তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সে সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণভাবে কাজ করছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর কোথাও কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে তা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কারণ, আমরা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। সিলেট অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্দি মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষনা করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন, তা কেবল আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে। গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস পেরিয়ে এসেছে এ দল। সব বাধা-বিঘœ উপেক্ষা করেই প্রতিষ্ঠা করেছে গণ মানুষের অধিকার।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উদযাপন করা হবে বিশেষ প্লাটিনাম জয়ন্তী। আগামীকাল শুক্রবার দুপুর ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালি শুরু হয়ে ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে। ২২ জুন রবীন্দ্র সরোবরে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রোববার সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র সমাবেশ হবে দুপুর আড়াই টায়। দিনটি উপলক্ষে সারা দেশে গাছ লাগানোর জন্য ‘সবুজ ধরিত্রী’ অভিযান পরিচালনা করা হবে দলীয়ভাবে।
এছাড়াও সোমবার ২৪ জুন সন্ধ্যায় হাতিরঝিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। আয়োজন আছে রোজ গার্ডেনেও। সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। আবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ২৮ জুন হবে সাইকেল র্যালি।# বাসস