তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য রিপোটার্সে একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকেরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করেন। তাতে করে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তারা সতর্ক হওয়ার একটা সুযোগ পাই। ভুল ত্রুটি নিরূপণ করার একটা সুযোগ পাই।
তিনি বলেন, কখনো কখনো হয়তো বিভিন্ন খবরাখবর এমনভাবে উপস্থাপন হয়, যা অতিরঞ্জিত। যেখানে হয়তো সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়। এরকম বিষয়কে আমরা নিরুৎসাহিত করি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও এরকম বিষয়গুলোতে একটা ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত। কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই।
রাষ্ট্র পরিচালনায় সাংবাদিকদের অপরিহার্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন আছে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও প্রয়োজন আছে। ভুল-ত্রুটি এবং বিচ্যুতি পরিহার করে, সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানান তিনি।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে তাজুল বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সাল থেকে মূলত ডেঙ্গুর তীব্রতা এবং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি। শুধু আমরা নই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতও অনেক আগে থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু পরে আক্রান্ত হয়েছি, কাজেই আমাদের সুযোগ ছিল এসব দেশের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার। আমরা সেটা করেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তাদের সব পদ্ধতি আমলে নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি।
মন্ত্রী জানান, এছাড়াও, ইতোমধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সিংগাপুর ইউনিভার্সিটি, মিয়ামি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটির সাথে ভার্চুয়ালি সভাও করেছি। মোটকথা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন।#বাসস