সম্পাদকীয়…………………………………
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবশেষে রাজশাহীও এর পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত না হলেও বেশ ভালই হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় পৌণে তিনটার দিকে রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়, সাথে হালকা ঝড় হাওয়া। প্রায় আধাঘন্টার বৃষ্টিতে আবহাওয়া অনেকটা শীতল হয়েছে, গরমের দাপট আর নেই। স্বশ্তিতে এলাকার সর্বস্তরে মানুষ, জীবযন্তু ও বৈরি আবহাওয়া।
মঙ্গলবার আগের রাতেও আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা ছিল। সে অনুপাতে মঙ্গলবার সারা দিন বৃষ্টির দেখা বা সম্ভাবনা কোনটাই না মিললেও আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। হঠাত করে রাতের বৃষ্টি জনমনে বিরাট স্বস্তি এনে দিয়েছে। আর কেউ বলছে না গরম বা পথে ঘাটে চলতে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষকরাও মাঠে স্বস্তির সাথে মনে আনন্দে ধানকাটার কাজ করছে। যেহেতু রাজশাহীসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলে এখন ধান কাটার ভরা মোওসূম।
শুধু রাজশাহী নয় প্রায় সমগ্র দেশে আল্লাহর রহমতে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড়ও হচ্ছে যদিও এটা আমাদের কাম্য নয়। তবে আল্লাহর ইশারায় যেটা ভাল সেটা হচ্ছে। মওসূম এখন কাল বৈশাখী ঝড়ের সে কারণে আমাদের সবাইকে বেশ খানিকটা সচেতন থাকতে হবে, মোকাবেলা করার জন্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কাটা এবং মাড়াই করে নিরাপদ জায়গায় মজুদ করে রাখতে হবে। যেন কোনভাবেই কস্টার্জিত উৎপাদিত ফসলের এতটুকু ক্ষতি না হয়। ধান মাড়াই করা সম্ভব না হলে নিরাপদ জায়গায় ঢেকে রাখতে হবে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
চৈত্র- বৈশাখের এ স্মরণকালের খরা গোটা দেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু দেশে নয়, অন্যান্য দেশে এবার আবহায়ার একই অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবারের মত আর তেমন খরার সংকট না আসার সম্ভাবনা বেশি যেহেতু আষাঢ় অত্যাসন্ন। তারপরও এ মওসূমকে ভুল গেলে চলবে না কেননা আবার মওসূম আসবে। যদি এরকম অথবা এর চেয়েও যদি ভয়াবহ হয় তবে কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তারও প্রস্তুতি এখনই আমাদের নিতে হবে। খরার মোবেলার জন্য দেশ তথা সরকারকে ভাবতে হবে।
আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতকে আমরা শুকরিয়া জানাই। হে আল্ল্হ তুমি আমাদের রক্ষা কর।#……………….০…………..