1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
পত্নীতলায় আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে জনগণ নয়, বিজয়ীদের প্রশাসন নির্বাচিত করেছিল: মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল নওগাঁর আত্রাইয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে নাচোলে ষ্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা নওগাঁর সাপাহারে শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত ৩ অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত গড়লো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপসী নওগাঁ ধর্ম, শান্তি ও মানবতার সন্ধানে রূপসায় জামাতে ইসলামীর ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে ব্যাংক এশিয়ার দৌরাত্মের কারণে হয়রানী শিকার সুবিধাভোগীরা শিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করা: খুলনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ‎ ‎

বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়রের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# নাজিম হাসান………………………………………………………………….

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১৯মার্চ) দুপুরে বাগমারা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে কয়েকজন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা বলেন, মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল ও প্যানেল মেয়র হাচেন আলী, দোলাহার হোসেন এবং সচিবের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিয়ার যোগসাজোশে পৌরসভার বিভিন্ন টেন্ডারকৃত কাজ সম্পন্ন না করে মেয়র নিজেই কাজ নিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে আসছেন।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০১৯ সালে ইজিপির দুই কোটি একত্রিশ লাখ টাকার কাজ আংশিক করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০২২ সালের কোটেশান টেন্ডারের পাঁচ লাখ ছিয়াশি হাজার ও নয় লাখ নিরানব্বই হাজার, চলতি বছরে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকার কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও গোপন বহিতে আদায়কৃত ট্রেড লাইসেন্স বিক্রির টাকা জমা না দেয়া, পৌর কর আদায় করে জমা না দেয়া, নতুন পৌর ভবন নির্মাণ কাজ ঠিকাদার কে না দিয়ে নিজেই নিম্নমানের ইট, রড, সিমেন্ট ব্যবহার ও পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়ার ব্যবহার, পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘর তৈরী করে ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া আদায়, পৌরসভার ট্রাক রোলার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, ভবানীগঞ্জ বাইপাস রাস্তা বিভিন্ন অর্থ বছরে টেন্ডার হলেও কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ , করোনাকালীন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ , কাউন্সিলরদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার উন্নয়ন কে বাধাগ্রস্ত করছেন।

অপরদিকে এডিপি ফান্ডের টাকা পৌরসভার একাউন্টে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ও সচিবের যোগসাজোশে উত্তোলন করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়। ২০০০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে লিটন মিয়া বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতে জড়িত থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। উপজেলা সদরের কয়েকটি বাণিজ্যিক মার্কেটে স্বজন প্রীতি করে কর আদায় না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি এবং চাকরী দেয়ার নামেও অর্থ আত্মসাৎ ‘র অভিযোগ পাওয়া যায়।

দানগাছি মহল্লার আলামিন জানান, তার কাছ থেকে ড্রাইভার পদে চাকরি দেয়ার নামে সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। কাউন্সিলর দোলাহারের মাধ্যমে মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল কে ওই টাকা দেন বলে জানায় আলামিন হোসেন। সম্মেলনে কাউন্সিলররা এহেন অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলের অপসারন ও সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিয়াকে বদলীর দাবী জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল মজিদ, আব্দুল হান্নান, আহাদ আলী প্রামানিক, আলমগীর হোসেন, নারী কাউন্সিলর এর স্বামী জবান আলী, ভূক্তভোগী আলামিন হোসেন প্রমূখ।

এসব ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তারা মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ডিডি এলজি তদন্ত করেছেন। এখনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তবে কাউন্সিলররা যেসব অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট