1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
খুলনার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সি ইউ সি স্কুল পরিদর্শন করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস পোরশায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে গণপিটুনি, পরে গ্রেপ্তার রাসিক প্রশাসকের সাথে নিসচা রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় খুলনায় ৬ স্থানে শিক্ষার্থীদের বিনা লাভের দোকান পত্নীতলায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালিত   রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেত্রী আটক সরকারি কৃষি সেবা ও ঋণ প্রাপ্তিতে নারী কৃষকের অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক রাজশাহীতে কর্মশালা তানোরে ফ্রি ট্রিটমেন্ট ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ ঈশ্বরদীতে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত তানোরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক, ৮০ হাজার টাকায় ছাড়  ! 

অর্থাভাবে যেন থমকে না যায় মেধাবীর স্বপ্নের অভিযাত্রা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# বিশেষ প্রতিনিধি ………………………………………………………………………

লেখা পড়ার ফাঁকে মাকে সহযোগিতা করেন সানজিদা আকতার। অর্থাভাবে প্রাইভেট পড়া হয়নি তার। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবার অসুস্থতার কারণে সংসার দেখভাল করতে হয় তার মাকে। তার বড় ভাই ফয়সাল আহমেদকে নিজের লেখা পড়াসহ বোনেরও খরচ যোগাতে হয়েছে। মায়ের হাতের কাজের টাকা আর ভাইয়ের সহযোগিতায় চলেছে সানজিদা আকতারের লেখাপড়া। তবে ভালো ফলাফল দেখে দুই একজন শিক্ষক সুবিধামতো সময়ে বিনা টাকায় প্রাইভেট পড়িয়েছেন । অনেক বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার এইচএসসিতেও চমক দেখিয়েছেন সেই সানজিদা আকতার।

গত রোববার প্রকাশিত ফলাফলে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর আগে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উপজেলার বাঘা হযরত শাহ্ আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছিলেন সানজিদা আকতার।

বাঘা পৌরসভার দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর-রিজিয়া দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে সানজিদা আকতার। ভাই বোনের মধ্যে সানজিদা আকতার ছোট। ৪ সদস্যর সংসার। লেখা পড়ার খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে সানজিদার মা বলেন, অভাব অনটনের সংসারে ভালো পোষাকও দিতে পারেননি। বাড়িতে হাঁস মুরগি পালন আর হাতের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। এখন কিভাবে শহরের ভালো কলেজে পড়াব? মায়ের ভাষ্য মতে, নিজের প্রচেষ্টা আর তার ভাইয়ের সহযোগিতায় সাফল্য বয়ে এনেছে। ভালো ফলাফলেও মেয়ের লেখা পড়া নিয়ে দুঃচিন্তা অসুস্থ বাবার।

জানা যায়, সানজিদা আকতারের বাবা হাবিবুর রহমানর একজ পল্লী চিকিৎসক। তার আয়ে সংসার চলতো। ১০বছর ধরে তিনি অসুস্থ। দেশে চিকিৎসা নিয়ে ক্রমাগত উন্নতি না পেয়ে, ইন্ডিয়ায় চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন ২ বার। ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ মেটাতে স্থাবর অস্থাবর সম্পদও বিক্রি করতে হয়েছে। সানজিদা আকতার জানান, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তার। সেই লক্ষ্য নিয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুযোগ পেলে দেশ ও মানুষের কল্যাণে গবেষণায় আত্মনিয়োগই হবে তার জীবনের ব্রত।

যদিও পরিবারের আর্থিক অনটন সেই স্বপ্নের অভিযাত্রায় বাঁধ সাধবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে তার । তবে স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে আপ্রান চেষ্টা মা ভাইয়ের। বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়াতেন মাদ্রাসার পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক নুরে আলম,রসায়নের আসমা বেগম, ইংরেজির আশরাফুূল ইসলাম । প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিঞা বলেন, ভালো ফলাফলে মা-বাবারই নয়, এ্লাকার মুখও উজ্জল করেছে। তবে প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলেও মেধাকে কাজে লাগাতে অর্থের প্রয়োজন পড়ে।

অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রউফ জানান, সাজজিদা আমার মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রতিকুলতাকে পেছনে ফেলে কিভাবে জয় করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে। সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে। আমার মাদরাসায় ভর্তি হলে সাধ্য মোতাবেক সার্বিক চেষ্টা করবো। বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ঝরে না যায়, সেজন্য সহযোগিতার চেষ্টা করবেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট