# এম.এস.আই শরীফ, ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ভোলাহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা মোড়ের দক্ষিণে “মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন” এর বিরুদ্ধে নাসরিন আরা পারভিনের হিংসার বসবর্তী হয়ে রিট মামলা দায়ের! তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতার সুরাহা চেয়ে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে চিঠি!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা মোড়ের দক্ষিণে অবস্থিত “ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন” টি অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যখন তৈরী। আর সে মূহুর্তে হিংসার বসবর্তী হয়ে ফিলিং স্টেশনটির নামে রিট মামলা দিয়ে স্টেশনটির কার্যক্রম ব্যাহত করছে বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ফিলিং স্টেশনটির নামে রিটকারি উপজেলার ২নং গোহালবাড়ী ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম খন্দকারের সাথে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের জায়গা-জমি নিয়ে মামলা অনেক আগে ফিলিং স্টেশনের মালিকের সাথে ছিল। যা ২০২৪ সালে মামলাগুলি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে গেছে বলে জানান ফিলিং স্টেশন মালিকপক্ষ।
আরো জানা যায়, নুরুল আহমেদ খন্দকারের মেয়ে মোসাঃ নাসরিন আরা পারভিন বাবার এহেন পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে হিংসার বশবর্তী হয়ে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে রিট মামলাটি দায়ের করে। প্রেক্ষিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মনে উদ্দ্যেশ্য হাসিলের আশায় রিট মামলার আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে এ ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক জনগণ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের স্বাক্ষরিত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের নিকট প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বলে লিখিত প্রমাণ রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি নির্মিত হওয়ায় সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে। বিশেষ করে তাদের কষ্টলাঘব, ন্যায্য মূল্য ও সাশ্রয়ী হবে। স্থানীয় সচেতনমহল বলছে, ভোলাহাট উপজেলার জনগণকে তাঁদের বিভিন্ন তেলের চাহিদা মিটাতে পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর উপজেলা হতে ২৩ কিলোমিটার ও আরেকদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ২৮ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে এ তেল সংগ্রহ করতে হতো, যা অত্যন্ত কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি হওয়ায় এসব কষ্ট আর ব্যয় থেকে সাশ্রয়ী হতে সাফল্যের মুখ দেখছে স্থানীয় জনগণ।
বর্তমানে উপজেলার সকল ভুক্তভোগী জনগণকে স্থানীয়ভাবে ভাসমান দোকান থেকে তেল ক্রয় করতে লিটার প্রতি ১০ টাকা বেশী গুণতে হচ্ছে। প্রেক্ষিতে, ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি নির্মিত হওয়ার কারণে এলাকার জনগণ এসব সমস্যা হতে মুক্তি পেয়েছে বলে তারা ও এলাকার সচেতনমহল সন্তোষ প্রকাশ করেন। রিট আবেদনটি হিংসার বশবর্তী হয়ে দায়ের করেছে বলে স্থানীয় জনগণ ধারনা করছেন।
তারা আরো বলছেন, বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। যেমনটি আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোমস্তাপুরের সন্তোসপুরে ভারতীয় সীমান্তের প্রায় দুই কিলো মিটারের মধ্যে ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এগুলির বিরুদ্ধে তো কেউ কখনো মামলা করেনি? রিট মামলাকারী মোসাঃ নাসরিন আরা পারভিনের সাথে মুঠোফোন-০১৭৫০-৪১৪০৬১ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, নাসরিন আরা পারভিনের পিতা ও তাঁর আপন ফুপাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন খাঁন ওরফে পিয়ার স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি অনেক আগে থেকেই মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা করে বিরোধিতা করে আসছিল বলে লিখিত প্রমাণ রয়েছে।
ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটির বিরুদ্ধে আনিত রিট মামলাটি দায়ের হওয়ায় উপজেলার সর্বস্তরের জনগন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর যথাযথ সঠিক সুরাহা চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও সচেতনমহল। #