মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের সরকারী খাদ্য গুদামের দারয়ান ইসমাইল হোসেন ও শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে মিলার-ডিলার ও কৃষকেরা রীতিমতো অতিষ্ঠ।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক প্রভাব ও গুদাম কর্মকর্তাকে জিম্মি করে তারা নানা অনিয়ম করছে। তারা নানা অজুহাতে ডিলারদের কাছে থেকে টাকা আদায়, টাকা না পেলে সিরিয়ালের নামে হয়রানি, বেছে বেছে নিম্নমাণের চাল-আটা নিতে বাধ্য করাসহ তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ধান বিক্রি করতে গেলে কৃষকের কাছে থেকে বস্তা প্রতি ৫ কেজি ধান ও টন প্রতি টাকা আদায় করছে। এমনকি রাতের আঁধারে (বোঙা) বিশেষ যন্ত্র দিয়ে বস্তা থেকে ধান-চাল-গম বের করে নিচ্ছে। এসব অবৈধ কাজ নির্বিঘ্নে করতে শ্রমিক সর্দারকে নানা কৌশল ও চাপ দিয়ে গুদামের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, এই দুই দারোয়ানের কারণে গুদামে প্রায় ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ঘাটতি হয়েছে, এর মধ্যে ৬ মেট্রিক টন কেনা হলেও এখানো ৬ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে। তারা বলেন, এই দুই দারোয়ান জেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদামে থাকতে সেখানেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে গুদাম কর্মকর্তাকে বিপাকে ফেলেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিলার বলেন, গুদামের দারোয়ান ইসমাইল ও শাহজাহানের কথায় আইন। তাদের কাছে গুদাম কর্মকর্তাও জিম্মি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) শেখ মনিরুজ্জামান সজিব বলেন, উপজেলার এবার সরকারিভাবে ৪৭৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে। এজন্য ১৮টি মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং এক হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দারোয়ান ইসমাইল হোসেন ও শাহজাহান আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গুদামের শ্রমিক সর্দার তাদের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে।
এবিষয়ে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি) মুকুল বলেন, অনেকেই মৌখিক অভিযোগ করে,তবে লিখিত অভিযোগ পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#