নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী………………………………………………
অবশেষে রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে মাদ্রাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য তাদের জানানো হয়েছে বলে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন নিশ্চত করে জানিয়েছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় এই গণসমাবেশ।
মামুনুর রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে তাদের জানানো হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে তারা গণসমাবেশের জন্য মাদ্রাসা মাঠ ব্যবহার করতে পারবে। এর আগে তারা ওই মাঠ বা তার আশপাশের এলাকায় কোন কার্যক্রম চালানো যাবে না।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এখনো পরীক্ষা চলছে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। পরীক্ষা চলাকালে তিনি ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন না। এ জন্য পরীক্ষা শেষ হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া বিএনপি শুধু ৩ ডিসেম্বর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।
এদিকে, সমাবেশের আগেই দূর থেকে আসা নেতাকর্মীদের বিশ্রাম ও রাতযাপনের জন্য মাঠের পাশে একটি জায়গায় গত সোমবার থেকে প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার পুলিশ তা ভেঙে দিয়েছে। বিএনপির গণসমাবেশের জন্য চাওয়া মাঠের পাশে নির্মাণাধীন এই প্যান্ডেলে চার-পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল।
প্যান্ডেল তৈরীর কাজে নিয়োজিত ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, তাকে এই প্যান্ডেল করার জন্য রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সোমবার সারা দিন এই জায়গাটায় মাটি ফেলে ঠিক করা হয়েছে। সারা দিন বাঁশ বাঁধার কাজ করিছি। কাজ করার সময় রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান এসে দেখেছেন। তখন নিষেধ করলে আমরা কাজ করতামনা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসি এসে প্যান্ডেলের বাঁশ খুলে ফেলতে বাধ্য করেন।
তিনি আরও জানান, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বিএনপির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য মাঠ চেয়ে আবেদন করা হয়। তারা রাজশাহী নগরের মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের জন্য আবেদন করেন। মঙ্গলবার বিকেলের পর রাজশাহী জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে তাদের মাঠ ব্যবহার অনুমতি দেন। তবে সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের জন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের অনুমতি এখনো মেলেনি। তবে আশ্বাস পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের রাতযাপনের জন্য সমাবেশের মাঠেই একটি প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু করে হয়েছিল। মাঠের অনুমতি ছিল না বলে সোমবার ওই প্যান্ডেলের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর মাঠের পাশে আরেকটি প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করলে সেখানে অনুমতি নেই, জানিয়ে সেটিও মঙ্গলবার ভেঙে দেয়া হলো।
রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তারা (বিএনপি) যে মাঠের অনুমতি নিয়েছে, তাদের যা করার সেখানেই করতে হবে। অনুমোদিত জায়গার বাইরে তারা কিছু করতে পারবে না।
মহানগর পুলিশের মূখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিবে জেলা প্রশাসক। আর পুলিশ অনুমতি দিবে সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের। আমরা এখনো অনুমতি দেয়নি। সেটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।#