1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

কৃষি জমি রক্ষায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক…………………………………………………..

একসময় রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় যে সমস্ত বিলে দেখা যেত ফসলে ভরা মাঠ এখন সেখানে দেখা মেলে শুধু পুকুর , দিঘী আর জলাভূমি। উর্বর ফসলি জমি কেটে তৈরি করা হয়েছে বড় বড় পুকুর আর দীঘি ।ফসলের পরিবর্ মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বেষি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যেমন কমেছে কৃষি জমি তেমনি পুকুর দিঘী, আর জলাশয়ের কারণে ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা ।

 

এই উপজেলায় নির্বিচারে পুকুর খনন চলতে থাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদনও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। অধিক হারে পুকুর খননের কারণে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে। এতে পরিবেশগত প্রতিকূলতার আশঙ্কা চরম পর্যায়ে। যদিও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আবাদি জমিতে পুকুর খনন বেআইনি ও অপরাধ তবুও মানা হচ্ছে না কৃষি জমি সুরক্ষায় সরকারের কোন নিয়ম নীতি ও নির্দেশনা। কৃষি জমি যথাসম্ভব কৃষি কাজে ব্যবহার নিশ্চিত করা ভূমি ব্যবহার নীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলেও বাস্তব অবস্থা এর বিপরীত। স্থানীয় প্রশাসন ইচ্ছে করলেই এসব অনিয়ম সহজেই দূর করতে পারে। কিন্তু কথায় আছে না ‘‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে’’।

 

ভূমি ব্যবহার নীতি ২০০১ এ বলা আছে কৃষি জমি কৃষি কাজে ব্যতিরেখে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু এ নীতির বাস্তবায়নে দুর্গাপুর উপজেলায় কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। এই ধারাবাহিকতায় এখনো দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মৃধাপাড়া ও হুজার বিলে আবাদি কৃষি জমিতে অবিরাম গতিতে নির্বিঘ্নেই অবৈধ পুকুর খনন অব্যাহত । প্রশাসন এমনিতেই জানে আবার অনেকে অভিযোগও করেছেন কিন্তু প্রশাসন যন্ত্র অনেকটা বিকল রয়েছে, কারণ কি।মনে হচ্ছে দেশে আইন বলে কিছু নেই, যেদিকে বৃস্টি সেদিকে ছাতা।কিন্তু বিশেষ করে এই উপজেলায় কয়েক বছরে প্রায় অর্ধেক আবাদি কৃষি জমি পুকুর হয়েছে। তবে যেটুকু জমি অবশিষ্ট ছিল নতুন ভাবেও চলতে শুরু করেছে খনন যন্ত্র । তবে অধিকাংশ পুকুর খনন করা হয়েছে নিষ্কাশন নালা এমনকি ব্রিজ কালভার্টের মুখে । হালকা বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে ।এতে শুধু ফসল নষ্ট হচ্ছে না আবাদি জমিতে পুকুর খনন বেশি হওয়ায় অএ অঞ্চলের গৃহপালিত প্রাণীর চারণ ভূমিও ব্যাপক কমে যাচ্ছে।

 

শুধুমাত্র চারনভূমির সংকটে মানুষ গরু ,মহিষ ও ছাগল প্রতিপালন ছেড়ে দিচ্ছেন l এ কারণে দুর্গাপুর উপজেলায় ধান, পাট, গম আলু, পিয়াজ, মরিচ, ভুট্টাসহ সকল প্রকার শাক সবজির উৎপাদন অনাকাঙ্ক্ষিত হারে কমে যাচ্ছে । অস্বাভাবিক কৃষি জমি কমে যাওয়ার প্রবণতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। কৃষি এঅঞ্চলের জীবন জীবিকার প্রধান ক্ষেত্র । ভূমি ছাড়া কৃষি আবাদ সম্ভব না। কৃষক মানেই তার ভুমি থাকতে হবে । ভুমি না থাকলে কৃষক কোথায় চাষ বাস করবে । তথাপিও দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবেই সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উৎপাদনশীল আবাদি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে এই ধ্বংসাত্মক খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আবাদি কৃষি জমি বাঁচাতে এবং তা রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা জেলা প্রশাসক আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট