সাগর নোমানী, রাজশাহী…………………………………………………….
দেশের গৌরবময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুনভাবে উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানিয়েছে বাবলাবন গণহত্যা দিবসের বক্তারা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সংগঠন দুটির যৌথ আয়োজনে ঐতিহাসিক বাবলাবন গণহত্যা দিবসের স্মরণ সমাবেশ এ আহবান জানানো হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসনে আলী পেয়ারা,বোয়ালিয়ার আহবায়ক সাগর নোমানী, শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, সিনিয়র সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহীতে স্বাধীনতাকামী ১৭ জন মানুষকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিজয়ের পরপর ৩১ ডিসেম্বর পদ্মাচর শ্রীরামপুর বাবলাবন এলাকা থেকে তাদের দঁড়িতে বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। অথচ দিবসটি পালনে এবং শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় রাজনীতিবিদদের নেই বিশেষ কোনো উদ্যোগ।
বক্তারা জানান, অসাধু রাজনীতিবিদরা সরকারি দপ্তরেও অবৈধ হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে এমন অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে বিঘ্ন ঘটছে সরকারি কাজ। এছাড়া এ অফিসের এক নারী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। যা কোনোভাবে মেনে নেয়ার নয়। সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী কর্মকর্তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার দাবিও জানান বক্তারা।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাবলাবন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে ৫০টি পরিবারের মাঝে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র। এ শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম পুরো শীত মৌসুমজুড়ে চলমান থাকবে।#