মমিনুল ইসলাম মুন………………………………………………….
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান থাকলেও লাইব্রেরি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এখবর জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ।
সম্প্রতি সরেজমিন হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, লাইব্রেরিয়ান আছে, কিন্তু লাইব্রেরি নেই। কিছু বই আছে, স্টাফ রুমের আলমারিতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ থাকা সত্ত্বেও তা দেখভাল করার কেউ নেই। লাইব্রেরিয়ান বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। যেটা চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্কুলের দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, তাদের স্কুলে লাইব্রেরী নেই, আর কম্পিউটার শিক্ষক নিলুফা ম্যাডাম কম্পিউটার চালাতে পারে না। স্থানীয় অভিভাবক মহল, শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ানের এমপিও স্থগিতসহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারি শিক্ষক বলেন, দুই নম্বরী করে কেনা সনদপত্র দিয়ে লাইব্রেরির চাকরি নিয়ে বসে বসে সরকারি অর্থ তছরুপ করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, আলাদা লাইব্রেরী নেই সত্য, তবে লাইব্রেরীর পরিবেশে নিয়মিত লেখা পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ হয়েছে। আমরা নির্দেশ দিয়েছি আলাদা লাইব্রেরি রুম করার জন্য, ব্যতিক্রম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্ররিয়ান লিটন বলেন, স্কুল লাইব্রেরির আলাদা ঘর নেই সত্য, তবে বিভিন্ন কৌশলে শিক্ষার্থীদের বই-পুস্তক পড়ানো হয়। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#