জিয়া রাজ………………………………………..
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সোমবার সন্ধ্যানাগাদ ভোলা ও পটুয়াখালী উপকূল দিয়ে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তবে আশেপাশের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়ের ঝাপটা লেগেছে বেশ ভালোই। এতে উপকূলীয় এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে মাছের ঘের, ভেঙে গেছে নদীর বাঁধ, আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎএর খুটি ভেঙে গেছে,গাছপালা উপড়ে গেছে, বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। তিনটা বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পাচ লাখ টাকা দরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। বরগুনা ও পটুয়াখালী এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে৷ বরিশালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গতকাল দিন ভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।
বাগেরহাটে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল থেকে জেলার কোথাও বিদ্যুৎ ছিলো না। লক্ষিপুরের বিভিন্ন চর এলাকা পাচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি বিশাল কার্গো জাহাজ ভেসে এসেছে। ভেসে আসা জাহাজ দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। ঘূর্নিঝড় সিত্রাং এর কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।#