আবুল কালাম আজাদ……………………………………………
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার ১৪অক্টোবর রাজশাহীর সাহেব বাজার, কাঁচাবাজারসহ প্রায় সব বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
রজশাহীর সকল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা, ছোট চিংড়িতে ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকায়। ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া রুই মাছে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। নদীর সব রকমের মাছে কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি এবং কার্প জাতীয় যেসব মাছ রয়েছে সেগুলো কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এ সপ্তাহে।
মাছ কিনতে আসা লাম জানান, মাছের দাম যেভাবে দিন দিন বাড়ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ হয়তো মাছ খাইতে পারবো না। প্রতি সপ্তাহে এসে দেখি মাছের দাম বেড়েছে। এভাবে চললে কিভাবে কী করবো? হয়তো মাছ খাওয়ায় ছেড়ে দিতে হবে।
মাছ বিক্রেতা জয়নাল জানান, আমাদের কিছু করার নাই দেশিয় মাছ কমে যাওয়ায় দিন দিন দাম বাড়ছে। শহরে মাছ লাগে দুইশো মণ সেখানে আমাদের মাছ দিচ্ছে চল্লিশ মণ। যতদিন যোগান ঠিক হবে না ততদিন মাছের দাম বাড়তেই থাকবে।
অন্যদিকে মাছের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ সপ্তাহে ডিমের দাম হালিতে চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। লাল ডিম ৪৬ টাকা ও সাদা ডিম হালিতে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। তবে খোলা বাজারে ডিমের দাম আরও বেশি। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায় আর লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।
ডিম কিনতে আসা কলেজছাত্র মৃদুল জানান, কয়েকদিন আগে ডিমের দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ডিমের দাম আবার বেশি। আমরা বাসায় কিছু না থাকলে একটা ডিম ভেজে ভাত খাইতাম কিন্তু এখন আর হয়তো সেটাও সম্ভব হবে না।
নগরীর সাহেব বাজার কলাইপট্টির পাইকারি ডিম বিক্রেতা মিঠু বলেন, বৃষ্টির কারণে খামারে মুরগির বিভিন্ন রকমের রোগ হচ্ছে। এতে ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে ডিমের দাম বেশি।
বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ব্রয়লার প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায় এবং ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়।
মুরগি কিনতে আসা মিশু জানান, কিছুদিন মুরগির দাম স্থিতিশীল ছিল কিছু সবকিছুর মতো এখন মুরগির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার করতে দেখি মুরহির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি। আসলে বলার কিছু নাই।
মুরগি বিক্রেতা রিয়াদ জানান, এ সপ্তাহে মুরগির দামটা বেশি। আমদানি কম থাকার এ সপ্তাহে মুরগির দামটা বেশি। এছাড়া আমরা বেশি দাম দিয়ে কিনেছি তাই দামটা বেশি।
এদিকে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০-৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।
এরছাড়া গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচাবাজার। এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত থেকে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, আলু ২৫, ফুলকপি ৭০, পটল ৪০, কমলা ৬০, কাঁচা মরিচ ৬০, ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা এবং দাম অপরিবর্তিত থেকে শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া এ সপ্তাহে মুদিপন্যের বাজারে সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।#