মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় মুরগির বিষাক্ত লিটার (বর্জ্য) দ্বারা পরিবেশ দূষণের অভিযোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে একটি পোল্ট্রি ফার্ম এবং একটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ) উপজেলা প্রশাসন গোদাগাড়ী, ও পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রসিকিউশন পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন।
অভিযানকালে দেখা যায়, নাবা ফার্ম লিমিটেড (পোল্ট্রি), অবস্থিত ঝিকড়াপাড়া, গোদাগাড়ী, রাজশাহী বর্জ্য নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১-এর বিধি ৭(৩) সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করছে। এ অপরাধে বিধিমালার দণ্ড (১৫) অনুযায়ী নাবা ফার্ম লিমিটেডকে ১,৯৯,৮০০ টাকা (এক লক্ষ নিরানব্বই হাজার আটশত) অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়াও, মুরগির বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত মেসার্স নাইম ট্রান্সপোর্ট প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যক্তিকে (নাইম আলীকে ) একই বিধিমালা অনুযায়ী ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজশাহী জেলা পুলিশের সদস্যগণ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল ইসলাম বলেন, “পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। ভবিষ্যতেও পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন জানান, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম ভঙ্গ করে কেউ পার পাবে না। এই অভিযান একটি দৃষ্টান্ত। পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রাখতে আমরা নিয়মিতভাবে নজরদারি ও আইন প্রয়োগ অব্যাহত রাখবো।” পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসচেতনতা ও আইন প্রয়োগ একত্রে চলমান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ও পরিবেশ কর্মকর্তারা।#