গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ পলাশবাড়ী পৌর শহরে যথাযথ নিয়ম না মেনেই একের পর এক গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভবন ও আবাসিক স্থাপনা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সরু সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব ভবন নির্মাণে ‘বিল্ডিং কোড’ মানা হচ্ছে না। আবাসিক স্থাপনা ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পর বসবাসের জন্য কেউ পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস থেকে ছাড়পত্র নিচ্ছে না। খুব কম ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়া হলেও তা পালন করা হয় না। এতে করে বেশকিছু পাড়া-মহল্লা রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে।
পলাশবাড়ী পৌরসভার সার্ভেয়ার ফয়সাল আহমেদ জানান, ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত প্রায় ২০০ স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তিনি আরো বলেন ৫ আগষ্টের পর পৌরসভায় যে সকল ভবন নির্মাণ হচ্ছে তার ৯৫℅ অনুমোদন নেই, এছাড়াও তিনি রংপুর স্টান্ড এর নাম উল্লেখ করে বলেন ঐখানে যেসব বিল্ডিং হচ্ছে তার বেশিরভাগ এর অনুমোদন নেই।
পলাশবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মর্তুজা এলাহী বলেন, পৌর শহরে বেশকিছু পাড়া-মহল্লা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করছি নিয়ম মেনেই আবাসিক স্থাপনা ও বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন দেয়ার। কোনো প্রকার অনিয়ম পৌরসভায় স্থান পাবে না।
পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, কিছু কিছু ভবন ছাড়পত্র নিয়ে থাকলেও অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবন মালিকরা ছাড়পত্র নেয়নি, কোন কোন বাণিজ্যিক ভবন ছাড়পত্র নেয়নি, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পলাশবাড়ী পৌরশহরের বেশ কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, মার্কেট অগ্নি নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিল্ডিং করা হয়েছে অনেকগুলোতে রাস্তা নেই।
মহিলা কলেজের পিছনে আবাসিক এলাকা, প্রফেসর পাড়া ও গৃধারীপুর সহ বেশ কিছু রোডে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি,এম্বুলেন্স,ময়লার গাড়ি ঢুকতে পারছে না এছাড়াও বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যারা অনিয়ম করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন, তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচেতন পৌরবাসী।#