স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের দোসর, ছাত্র জনতা হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দোসর, প্রধান পৃষ্ঠোপোষক ও ৫ আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র হত্যা মামলার একাধিক মামলার আসামী কাশিয়াডাংগার ওলি হাজির পুত্র আগের মালিক ন্যাংড়া বাবুকে হত্যাকারী ও কিশোর গ্যাং প্রধান পারভেজের পিতা মোখলেসুর রহমান মুকুলকে বালিঘাট ইজারা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজশাহীর সর্বোস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মান্নাফ মুন্নাফ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা শাহানুর ইসলাম মিঠু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আলী হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাজির হাসান ও আনারুল ইসলাম আনাকুল এবং বিএনপি নেতা টিপু।
রাজাপাড়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রাতুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বালিঘাট ব্যাবসায়ী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা উল্লেখ করেন পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ সালের গোদাগাড়ী উপজেলা ও জোনের পাঁচটি মৌজায় দক্ষিণ নির্মল চর, শেখেরপাড়া, এলাহীনগর, চরবার্নিশ ও পদ্মানদী নামে বালুরঘাটগুলো উক্ত আসামী মোখলেসুর রহমান মুকুলকে বিশেষ যোগসাজসে প্রশাসন ইজারা দিয়েছেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার সশরীরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে অত্র ইজারার টাকা জমা এবং স্বাক্ষর করে যান। যা বর্তমান সরকারের পলিশির সাথে বেআইনী ও আইন বিরুদ্ধ।
তারা বলেন, ৩৬ জুলাইয়ের পলাতক আওয়ামী দোসর মখলেসুর রহমান মুকুল ও তার মুন এন্টারপ্রাইজ’র নামে একাধিক মামলা হয়েছে। আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে (১) বোয়ালিয়া থানার কেস নং- ৩৭, তারিখঃ ২৫/০৯/২০২৪ ইং, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭৪/৩৪ দঃ বিঃ বিস্ফোরক আইনের ৩/৪/৬ ধারা, জি আর নং- ৪১৬/২৪, (২) বোয়ালিয়া থানার কেস নং- ৪৬১/১৭, তারিখঃ ১৮/১১/২০২৪, ধারাঃ ১৪৩/ ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ পেনাল কোর্ড ১৮৬০, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইন (সং/০২) এর ৩ ধারা মামলা রয়েছে।
উক্ত মামলার আসামী কিভাবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন ও সরকারের প্রশাসনকে বৃদ্ধাংলী দেখান?জনমনে অন্তহীন প্রশ্ন জেগেছে। রাজশাহীর জেলা প্রশাসন কি পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কথা মত চলে?
তারা আরো উল্লেখ করেন মখলেসুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা আছে। তিনি আওয়ামীলীগের নেতা দূধর্ষ, মাস্তান, খুনী, এশিয়া মহাদেশের হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী,তার পুত্র পারভেজ ৩০০ জন কিশোর গ্যাং’র প্রধান তিনি তার পুত্রকে দিয়ে কিশোর গ্যাং করেছেন,এছাড়া ৫ই আগষ্টের জ্বালাও পোড়াও, হত্যা খুনের প্রধান সেনাপতি ও অর্থ যোগানদাতা এই মুকুল। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ও নিরুদ্দেশ ছিলেন। এই আসামী কি ভাবে টেন্ডার কার্যক্রমে অংশগ্রহন ও নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা ও স্বাক্ষর করেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসককে মুকুলকে ইজারা প্রদান করতে হবে অন্যথায় আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে মুকুলের ইজারা বাতিল করা না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ও জেলা প্রশাসক’র ইন্ধন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।
মুকুল কিভাবে নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা ও স্বাক্ষর করেছেন এগুলো খতিয়ে দেখে, জরুরী ভিত্তিতে, তার দরপত্র বাতিল করে, পুনরায় নতুন ভাবে দরপত্র আহবান করে, আইনকে সমুন্নত রাখার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন তারা। সেইসাথে আওয়ামীলীগের দোসরদের সহযোগিতা ও পুনর্বাসনে সহযোগিতাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।#