# ফারুক হোসেন নয়ন, বদরগঞ্জ ( রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের বদরগঞ্জে বাড়ির প্রবেশ দরজার সামনে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন, অসহায় এক কৃষকপরিবারকে।
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে গ্রাম সালিশি বৈঠকে মীমাংশার জন্য একাধিকবার বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন । এলাকার মান্য গণ্য ব্যাক্তিগণ। এঘটনায় বাড়ির মালিক আঃ মান্নান মিয়া বাদি হয়ে মাস দুয়েক আগে বদরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । প্রথমত অস্থায়ীভাবে গর্ত খনন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেট দিলে বাদি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সাম্প্রতিককালে রাস্তাটি পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে, স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেন।বিবাদী প্রভাবশালী আঃ হাকিম মিয়া।
এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মহদীপুর পলিপাড়া কাল্টুপাড়া গ্রাম এলাকায়। দুইমাস আগে থানায় অভিযোগ দিলেও এখন অবদী কোন সঠিক সমাধান পাননি বাড়ির মালিক অসহায় মান্নান পরিবার।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদি আঃ হাকিম মিয়া ভুক্তভোগী মান্নান মিয়ার বিমাতা ছোট ভাই। ক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে মান্নান মিয়ার বাড়ির মুল প্রবেশ দরজার সামনে গর্ত করে রাখে। এঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে দাঙ্গা হাঙ্গামার স্বীকার হন তিনি। মান্নান মিয়ার শুধুমাত্র দুটি কন্যা সন্তান তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় জনবলে প্রতিপক্ষের শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারছেন না তিনি। আর এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে রাস্তা ও জমি তার দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী আঃ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, আমার বাড়ির সামনের এই রাস্তা দিয়ে বাপ দাদার আমল থেকে আমরা যাতায়াত করছি। আর এটা সরকারী রাস্তা আমার ছেলে সন্তান নেই আমার মাত্র দুটি কন্যা সন্তান তাই আমার ঘরবাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে আমার বিমাতা ভাই হাকিম মিয়া আমার উপর নানাবিধ অন্যায় অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে। আমি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। আমার যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় আমি এখন আমার বাড়ি ছেড়ে আমার মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। এমনকি আমার বাড়িতে আমি প্রবেশ করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছি ।
২৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সরেজমিনে তদন্তকালে মুল ফটকের সামন দিয়ে পাকা প্রচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। এব্যাপারে আঃ হাকিম সাংবাদিকদের জানান, আমি আমার জমির উপর দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করেছি কারো করার কিছু থাকলে করুক আমার কিছু যায় আসেনা আমি ন্যায় পথে আছি। ঘটনা তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস.আই ইসাহাক আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমি মানবিক দিক লক্ষ্য করে কেননা বাদির যেহেতু কোন ছেলে সন্তান নেই সেক্ষেত্রে ঘটনা স্থলে ৫দিন গিয়েছিলাম। কিন্তু বিবাদি হাকিম মিয়া ও তার ছেলে রুস্তম আলী আমাকে কোন পাত্তায় দেননি, বিষয়টি আমি সঙ্গে সঙ্গে ওসি স্যারকে জানিয়েছি।
এবিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, বাদী কাগজপত্র নিয়ে যদি থানায় আসে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং যাতে স্থায়ী সমাধান করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।#