# শাহরিন সুলতানা সুমা…………..
রংপুর চিনিকল পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে সমগ্র রংপুর অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণ। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এ চিনিকল আবার চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ আর্থিক ভাবে লাভবান হবে এবং শিক্ষিত যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন এঅঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি সাংবাদিক মোছাঃ শাহরিন সুলতানা সুমা শ্যামপুরে বেড়াতে যায়। যাওয়ার পর দেখলেন সুন্দর একটি সুগার মিলস, সরকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিলেন জাপানের একটি কোম্পানি, যা আজো কার্যকর রয়েছে। এটিকে সুন্দর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান, অথচ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বিগত ৫০ বছরেও উত্তর অঞ্চলে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
এই প্রতিষ্ঠানের হাঁজার হাঁজার আখ চাষী হাঁজার হাঁজার কর্মচারী ও কর্মকর্তা ও তার পরিবার রয়েছে। এসব আখ চাষী ও কর্ম চারীরা সরাসরি জড়িত। কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে। আমি সাংবাদিক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে অনুরোধ করবো ওনি যেনো এতো সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে পুনরায় চালু করেন। রংপুর শ্যামপুর চিনি কলসহ ৬টি চিনিকল বন্ধ রাখার কারণে বাজারে চিনির মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। একরকম ভোক্তারা চিনি খাওয়ার কথা ভুলেযেতে বসেছে। ১৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রংপুরের পুত্রবধূ হিসেবে এঅঞ্চলের মানুষের চাওয়া পাওয়া ও দু:খ কস্টের কথা মনে করে নতুন ব্যবস্থাপনায় আবার চিনি কলটি চালু করা যায় কি না ভেবে দেখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনি বলেন, একটি গাছ কাটতে হলে আগে একটি গাছ লাগাতে হয়। তাই রংপুরের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বিনীতভাবে চায়, মিল বন্ধ করার আগে সকল কর্ম চারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার ছিল, এমনটি আশা উত্তরাঞ্চলবাসির।
রংপুর উত্তরাঞ্চলের মানুষ খুবই অবহেলিত কোন শিল্প কারখানা নেই, কোন কর্মসংস্থান সুযোগ ও কম। নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে না উঠায়, এবং কারখানা গড়ে না উফার সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় হাঁজার হাঁজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। একারণে বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্ম কান্ডে জড়িয়ে নিজের জীবন এবং সমাজ কলুসিত করছে। আর এসব অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত রাখতে যুব সম্প্রদায়ের বিল্প নেই। এ বেকার শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে কাজে লাগিয়ে কর্মীর হাতে পরিণত করতে আরও একবার সুযোগ দিন এটা প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোরালো দাবি।#