# মোঃ ফিরোজ আহমেদ, আত্রাই প্রতিনিধি……………………….
উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ এ জেলার আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,হাসপাতাল, রেলস্টেশন ও বিভিন্ন গ্রামের অলিগলি ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আমজাদ হোসেন। আমজাদ হোসেন আত্রাই উপজেলার ক্যাশবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা । কড়া রোদ, তার ওপর ভ্যাপসা গরম। দুইয়ে মিলে যায়যায় অবস্থা। ঘর থেকে বের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘামে ভিজে যায় কাপড়। এ অবস্থায় সামান্য স্বস্তি খোঁজতে মরিয়া আত্রাইবাসী। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বেছে নেন ঠান্ডা কোমল পানীয়। আবার অনেকের ভরসা আইসক্রিম। তাই প্রত্যেক বছর মার্চের শুরু থেকে বেড়ে যায় আইসক্রিমের চাহিদা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।
সোমবার দুপুরে উপজেলার ভবানীপুর বাজারে দেখা মেলে আমজাদ হোসেনের সাথে, আলাপচারিতায় তিনি জানান, শীত, গরম, রোদ, বৃষ্টি যাই হোক না কেন তাকে আইসক্রিম বিক্রি করতে যেতেই হবে। তানা হলে সংসার চলবে কি করে? এক প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, আমি নিজের তৈরি করি আইসক্রিম এতে দুধ, চিনি, এলাচ, বাদাম, কিসমিচ আর গরম মসলার মিশ্রণে তৈরি হয় আইসক্রিম। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিমে কামড় দিয়ে স্বাদ নিতে পারেন যে কেউ। তাই শীত, গরম মৌসুমেও আমজাদ হোসেনের আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয়।
তিনি আরও বলেন, গত ৩৭ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সারা বছর আইসক্রিম বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কম হয়। আইসক্রিম কিনতে আসা জাকির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, যখন স্কুলে পড়তাম প্রতিদিন বাবা-মায়ের কাছে বায়না করতাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। স্কুলের সামনে বসতো আইসক্রিম ওয়ালা ওখান থেকে অনেক আইসক্রিম খাওয়া হয়েছে তবে এখন আর আইসক্রিম কেনা হয় না। এখন আগের মতো আইসক্রিম বিক্রিতাদের রাস্তা-ঘাটে দেখাও যায় না।
শ্রীরামপুর গ্রামের নাঈম বিল্লাহ নামে এক যুবক বলেন, গরিব হলেও আমজাদ হোসেন খুব সৎ মানুষ। কষ্ট করলেও তার মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। সবসময় পরিপাটি থাকা মিষ্টভাষী এই মানুষটি কখনও কারও ক্ষতি করেন না। তাই এলাকার মানুষও তাকে খুব পছন্দ করেন, ভালোবাসেন।#