যশোর মনিরামপুরের ব্যাবসা ও চাকুরি প্রলোভন দেখিয়ে পঁচিশ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক আমিনুল সর্দার
-
প্রকাশের সময় :
শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
-
২০৪
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার)……………………………….
যশোর মনিরামপুর উপজেলার কুমোরঘাটা এলাকা থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গোপালগঞ্জ টংগীপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা এলাকার মৃত বারিক সর্দারের পুত্র মহাপ্রতারক আমিনুল ইসলাম সর্দার (৪৮)।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,যশোর মনিরামপুর উপজেলার ১৭ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমোরঘাটা গ্রামের সহজ সরল হত দরিদ্র আফছার আলীর ধাবকের ছেলে নজরল ইসলাম(৪২) এর কাছ থেকে প্রথমে ভালো গরুর ফার্ম ও মৎস্য ঘেরের খাবারের ব্যবসার কথা বলে দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এলাকার চিহ্নিত রফিকুল ফকিরের ছেলে রোস্তমের মাধ্যমে।পরবর্তীতে নতুন করে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে আরও ধারাবাহিকভাবে পনের লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ২০১৯ সালে। মোট পঁচিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করেছে নজরুল পরিবারের।নজরুলের পরিবারের সাতজন লোক নিয়ে এখন মানবেতরের জীবনযাপন করছে।
এনজিওর দুই লক্ষ টাকার ঋণ,ধার করে নেওয়া অর্থ,গোয়ালের তিনটি গরু, জীবন -জীবিকার একমাত্র অবল্বন ৮৪ শতাংশ ধানী জমি ও বসত ভিটার গাছ বিক্রি করা অর্থ নিয়ে দুই প্রতারক এখন লাপাত্তা। সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে এখন দুই শতক বসত ভিটা ছাড়া আর কোন কিছুই নেই।পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন এখন নজরুল।ছেলে মেয়ের পড়াশুনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।অনাহারে অর্ধাহারে এখন দিনাতিপাত করছে নজরুলের পরিবার।
গতকাল সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে প্রবেশ করলে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য।গোপালগঞ্জ টংগীপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গার ভৃত বারিক সদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম সর্দারের রয়েছে একটি সিন্ডিকেট।যার হোতা যশোর মনিরামপুর উপজেলার কুমোরঘাটা গ্রামের রফিকুল ফকিরের ছেলে রোস্তম আলী ফকির (৩২) ।এলাকার অনেকেই বলেছেন,নজরুলসহ আরোও দু’টি পরিবার আজ পথের ফকির ও সর্বশান্ত। মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমোরঘাটা গ্রামের নজরুলের বাড়িতে পৌঁছালে পিতা, মাতা, স্ত্রী সন্তানেরা সবাই একই কন্ঠে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি আমাদের পরিবারের মাধ্যমে প্রবেশ করে দুই মহাপ্রতারক এত বড় ক্ষতি করে যাবেন।আমাদের এখন মৃত্যু ছাড়া আর কোন উপায় নেই।প্রতারক লম্পট আমিনুল সর্দার নিজের ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা,মন্ত্রী ও বড় বড় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি দেখিয়ে বলেন, ব্যাবসা এখন মন্দা, তাই আমি পুলিশের এন এস আই, পুলিশ কনষ্টেবল ও এসাসেনসিয়াল কোম্পানি (ড্রাগস) পদে চাকুরি দিয়ে দেব বলে অঙ্গীকার করে বলে বাকি পনের লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ২০১৯ সালে।দুই মহা প্রতারকের একাধিক মোবাইলের সীম রয়েছে।যা বর্তমানে সবগুলোই বন্ধ।
এলাকার সচেতন মহল বলেছেন,এত বড় ক্ষতি তিনটি পরিবারের আজ মেনে নেওয়া যায় না। দেশরত্ন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রাণের দাবি অবিলম্বে দুই মহাপ্রতারককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাসহ তিনটি পরিবারের অর্থ যাতে ফেরত পেয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে পারে সেই দাবী এখন এলাবাসীর।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ