1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

রাজশাহীতে জুটমিল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নাজিম হাসান……………………………………………………

রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবারও রাজশাহী পাটকল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। রোববার সকাল ১০টার দিকে পাটকলের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাটাখালী বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জুট মিলস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে কয়েকশো শ্রমিক অংশ নেন।

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভা এলাকায় ১৯৫৫ সালে এই পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদন চলত। ২০২০ সালে দেশের ২৫টি পাটকলকেই ইজারা দিয়ে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কথা ছিল, আধুনিকায়নের পর তিন মাসের মধ্যেই পাটকলে আবার উৎপাদন শুরু হবে। কিন্তু চার বছর পার হলেও রাজশাহী পাটকল আর চালু হয়নি। এতে পাটকলের প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফরমান আলী বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের পথে বসিয়ে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী শ্রমিকবান্ধব। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি এই পাটকল আবার চালু করবেন। খেটে-খাওয়া শ্রমিকদের দু’বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ২০২০ সালে যখন পাটকল বন্ধ করা হয়, তখন বলা হয়েছিল ইজারা দিয়ে পাটকলগুলো আবার চালু করা হবে। তারপর কয়েকটা পাটকল ইজারা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলো চলছে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবেই এই পাটকল চালু করতে হবে। এই পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। কিন্তু কর্ম হারিয়ে অনাহারে থাকছেন শ্রমিকেরা। কর্মহীন অনেক শ্রমিক বিনাচিকিৎসায় মারা গেছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। আমরা গায়ে খেটে পারিশ্রমিক নিতে চাই। তিনি বলেন,রাজশাহীতে তেমন ভারি শিল্প নেই। যে দু’একটি আছে সেগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বয়স হয়েছে। আর হয়ত কাজ করতে পারব না। কিন্তু নতুনরা কাজের সুযোগ পাক। আমরা এটাই চাই। নতুন মন্ত্রী যদি পাটকল চালু করে দেন, শ্রমিকেরা দুইহাত তুলে দোয়া করবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, পাটকলের মৃত শ্রমিক ও বদলির শ্রমিকদের অনেকের পাওনা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এক হাজার ৭০০ শ্রমিক বেকার থাকলেও ৫৭ জন কর্মকর্তা ও ১৫০ জন কর্মচারী বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। তাদের কোন কাজ নেই। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন নিয়ে চলে যান। তারা বসে বসে বেতন নিলেও যদি লোকসান না হয়, তাহলে শ্রমিকেরা উৎপাদন করে মজুরি নিলেও লোকসান হবে না। সরকারকে বিষয়টি বুঝতে হবে। পাটকল চালু করতে রাজশাহীর জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা বাড়ি-গাড়ি চাই না। আমরা কাজের পরিবেশ চাই। কাজ করে পয়সা নিতে চাই। অচিরেই যদি পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু করা না হয়, তাহলে আমরা দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের সঙ্গেই বসব। সবাই মিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। প্রয়োজনে আমরণ অনশন করব। তারপরও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এভাবে ধংস হতে দেব না।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সমাবেশ পরিচালনা করেন। এতে আরও অনেকে বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে শ্রমিকেরা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট