1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রাজশাহী-৬(চারঘাট-বাঘা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মিঠুর পক্ষে ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সম্প্রীতির বন্ধনে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত বাঘায় ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫, ৩-১ গোলে পাকুড়িয়া ফুটবল একাদশের জয় তানোরে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা সেবা প্রত্যাশীরা যেন বিরূপ ধারণা নিয়ে থানা থেকে ফিরে না যায় : এসপি সাফিউল রাজশাহী নগরীতে যানজট সচেতনতায় সাইকেল র‌্যালি অধ্যক্ষের অবহেলায় তানোর মহিলা কলেজে ছাত্রী আফসানা মিমির ফল স্থগিত চরবাগডাংগা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৭টি ভারতীয় মহিষ আটক থানার সার্বিক কর্ম-মূল্যায়নে জেলায় ৩য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ “বাঘা থানা, পুরুস্কারে ভূষিত ওসিসহ আরো দুই অফিসার লালপুরে ৫ বিঘা জমির কলা কেটে ধ্বংসের ঘটনায় থানায় জিডি

রাজশাহীর তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব চলছে-

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
  • ২৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি…………………………………………..

রাজশাহীর তানোরে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফের চোরাপথে (এমওপি) পটাশ সার মজুদের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকের অভিযোগ তানোরে চলছে রীতিমতো সার চোরাচালানের মহোৎসব।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মদদে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ক্রয় রশিদ ছাড়াই নন ইউরিয়া সার চোরপথে এনে তানোর পৌর এলাকায় মজুদ ও গোপণে বেশী দামে বিক্রি করছে। এতে সরকার অনুমোদিত ডিলারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫জুন সোমবার তানোর পৌর এলাকার গোকুল গ্রামের জনৈক বাণী ক্রয় রশিদ ব্যতিত উপজেলার বাইরে থেকে চোরাপথে দুই গাড়ী এমওপি (পটাশ) সার নিয়ে আসে। এ সময় কৃষকেরা চাপড়া ব্রীজের কাছে অবৈধ সারসহ দুটি গাড়ী আটক করে কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করেন। কিন্ত্ত কৃষি কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগেও গত ১৮মে বৃহস্প্রতিবার সকালে তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় মোড়ে চোরা পথে এনে একট্রাক ৪৮০ বস্তা (এমওপি) পটাশ মজুদ করা হয়। এসব সারের কোনো ক্রয় রশিদ ছিল না।

 

যশোরের নওয়াপাড়া বাজারের দক্ষিন বঙ্গ ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ট্রাকে এসব সার নিয়ে আশা হয়। এসময় সেখানে সৈয়বের পুত্র মিলন দাঁড়িয়ে ছিলো। ট্রাকের চালক বলেন, নওয়াপাড়া থেকে প্রণব সাহার নামে এসব সার তানোর আনা হয়েছে এবং সৈয়বের পুত্র মিলন এখানে সার নামাতে বলেছে। তবে ক্রয় রশিদ না থাকায় এসব সার আসল-নকল না চোরাই সেটি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

 

এদিকে এভাবে চোরাপথে ট্রাকের ট্রাক সার আশায় উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসির অনুমোদিত  সার ডিলারদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার এক সার ডিলার বলেন, এই কৃষি কর্মকর্তার সময়ে সার নিয়ে যে অরাজকতা চলছে, তাতে তাদের ব্যবসা করা দায়, এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া তাদের কোনো উপায় নাই। কারণ ব্যাংক ঋণের টাকায় ব্যবসা এভাবে চোরাপথে সার আশা বন্ধ না হলে তাদের দেউলিয়া হতে হবে।

 

স্থানীয় মহল্লার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা বলেন, কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে জনৈক প্রণব সাহা-সৈয়ব আলী ও জসিম সিন্ডিকেট করে দীর্ঘদিন ধরে চোরাপথে সার এনে  বেশী দামে পৌর এলাকায়  বিক্রি করছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এর আগে কামারগাঁ হাটের জাকির হোসেন জুয়েল, তালন্দ হাটের গণেশ ও মনিরুল চোরাপথে পটাশ সার এনে মজুদ করেছিল। কিন্ত্ত কৃষি কর্মকর্তাকে বলার পরেও তিনি কোনো ভুমিকা রাখেননি।

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের  নভেম্বর মাসে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের দোকানে সার পেয়ে কোন মেমো দেখাতে না পারার অপরাধে ১ লাখ ২৬ হাজার, একই কারনে টিপুর ১০ হাজার ও গণেশের ১৫ হাজার এবং কলমা ইউপির সার ব্যবসায়ী নজরুলের পাচারে দায়ে এক লাখ টাকা, ধানতৈড় মোড়ের খুচরা সার ব্যবসায়ী জসিমের ট্রাকে করে সার নামানোর দায়ে ১৫ হাজার  টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তাহলে ৪৮০ বস্তা সার মজুদের বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিরব কেন ?

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সার নিয়ে কৃষকদের সমস্যা থাকলে এভাবে সার নিয়ে আসতে পারবে। তাকে অবগত করেই তারা এসব সার এনেছিল, এসব বৈধ সাব।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, অনুমোদিত ডিলার বা ডিলারের মাধ্যমে ব্যতিত এভাবে ট্রাকে করে  সার নিয়ে আশার কোনো সুযোগ নাই, এটা অবৈধ, রশিদ বিহীন এসব সার তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেবার আহবান জানান।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, কোনো কৃষকের পক্ষে ক্রয় রশিদ ব্যতিত এক সঙ্গে এতো বিপুল পরিমাণ সার নিয়ে আশা অসম্ভব। তিনি বলেন, যেখানে আমরা চাহিদা মতো পটাশ সার পায় না, সেখানে সাধারণ কৃষক কিভাবে একসঙ্গে এতো শুধু পটাশ সার পায়।তিনি বলেন, যদি সাধারণ কৃষকেরা এভাবে সার আনে তাহলে ব্যাংক ঋণের কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ডিলারি করার কোনো মানে হয় না।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট