আলিফ হোসেন,তানোর থেকে……………………………………………………………….
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার সাাঁকোয়া-বাকশৈল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তথ্যগোপন ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে নিয়ম বর্হিভূতভাবে এমপিও করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক (অর্থ) ও এমপিও বাছাই অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান। গত ১২ জুলাই নোটিশটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে মাদরাসা শিক্ষকদের এমন জালিয়াতির খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, মাদরাসা শিক্ষকরা সব সময় ইসলাম নিয়ে কথা বলেন, তাদের অনুসরণ করে মানুষ জীবন গড়বে। অথচ সেই শিক্ষকেরা যদি জালিয়াতি করে তাহলে তাদের দৃশ্যমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিৎ। কারণ তাদের দেখে অন্যরা সতর্ক হবেন।
অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই নোটিশের অলোকে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার সাঁকোয়া-বাকশৈল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (এমপিও কোডঃ ১২৬৮২১২৪২০) তথ্য গোপন করে ভুয়া জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগপত্র তৈরী করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সহকারি মৌলভী পদে এমপিওভুক্ত করান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ি (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)। যা চাকুরী শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও সম্পূর্ণ বেআইনি বিধি বহির্ভূত। অধ্যক্ষসহ মৌলভী পদের এমপিও বেতন-ভাতার সরকারি অংশ অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়াও কেন স্থায়ী ভাবে স্থগিত করা হবে না সে মর্মে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে অধ্যক্ষকে সন্তোষজনক জবাব প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। বেতনভাতা সাময়িক স্থগিতকৃত শিক্ষকরা হলেন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কাদের, সহকারি মৌলভী আবদুল কাদের, সহকারি মৌলভী শরিফুল ইসলাম, সহকারি মৌলভী জাহিদুল ইসলাম এবং সহকারি মৌলভী আমজাদ হোসাইন।
এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে সাঁকোয়া-বাকশৈল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানকে এধরণের নোটিশ দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। কেন তা আমি জানি না। আলিম মাদ্রাসা ভেবে অতিরিক্ত শিক্ষক বিষয়ে ভেবে থাকতে পারেন। আমাদেরটা তো কামিল মাদ্রাসা। আমি নোটিশের জবাব দিয়ে আসছি।#