1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নগরীর ১২ টি হাটের পশু ক্রেতা- বিক্রেতার নিরাপত্তা প্রদানে সিটি হাট পরিদর্শনে আরএমপি পুলিশ কমিশনার রাণীশংকৈলে হোটেল কর্মচারীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটক মদ্যপ বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি পত্নীতলায় সড়কে ঝরল ৩ বন্ধুর প্রাণ      পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২   ভোলাহাটে চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষসহ ৮ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ভোলাহাটে ঘুর্ণিঝড় ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ কুষ্টিয়ায় ১০ দফা দাবিতে কিয়াম ও এমআরএস কারখানার শ্রমিকদের কর্মবিরতি  বাঘায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা  বাঘায় ভিজিএফ এর চাল নিতে লম্বা লাইন, পেল ১৪ হাজার ১৩০ পরিবার

রাজশাহীর বাগমারায় নামের সাথে মিল থাকায় ১১ ঘণ্টা হাজতবাস করলো রাজমিস্ত্রি

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
  • ২৬৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# নাজিম হাসান…………………………………………………………….

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় অপরাধ না করেও আসামির নাম বাবার নাম ও ঠিকানার সঙ্গে মিল থাকায় অপরাধী না হয়েও প্রায় ১১ ঘণ্টা হাজতবাস করতে হয়েছে আবদুর রাজ্জাক সরদার (৫৩) নামে এক রাজমিস্ত্রি কে। পরে প্রকৃত আসামিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ধরিয়ে দিলে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জুন) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বাজেকোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে যায় বাগমারা থানা পুলিশ। শুক্রবার (৩ জুন) সকালে তাকে নেওয়া হয় বাগমারা থানাহাজতে। সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পরিবারের প্রচেষ্টায় প্রকৃত আসামি ধরা পড়ায় থানা থেকেই মুক্তি পান আব্দুর রাজ্জাক সরদার। আব্দুর রাজ্জাক সরদার যোগিপাড়া গ্রামের গরিবুল্যা সরদারের ছেলে।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করে গনিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি গনিপুর ইউনিয়নের বাজেকোলা গ্রামের রিনা নামের এক নারী মামলাটি করেন। মামলায় রিনার সাবেক স্বামী আবদুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়েছে। ওই রাজ্জাকের বাবার নামও গরিবুল্যাহ। তার বাড়িও বাজেকোলা গ্রামে। কাকতালীয়ভাবে তাদের নাম ও ঠিকানা মিলে যায়। তবে মামলায় ইউনিয়নের নামটি উল্লেখ ছিল না। এ কারণে নিরপরাধ আব্দুর রাজ্জাক সরদারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ভাগনদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ।

 

নাম, বাবার নাম ও ঠিকানার মিল থাকার ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, তথ্য ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই আমাকে ১১ ঘণ্টা হাজতবাস করতে হয়েছে। পুলিশ যদি আসল আসামির খোঁজ না পেত, তবে হয়তো আমাকে আজীবন কারাবাসেই কাটাতে হতো। এর দায় কে নিত। গনিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর নিরপরাধ আব্দুর রাজ্জাক সরদারের স্ত্রী ও তার ছোট ভাই রেজাউল করিম আমার কাছে এসেছিলেন। তারা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি বাগমারা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং সঠিক তদন্তের বিষয়ে বলি। প্রকৃত আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আগে আমার কাছেই বিচার বসেছিল। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পরে তারাও কাগজপত্র দেখে আসল আসামি শনাক্ত করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।

 

 

ভাগনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, একই নাম, বাবার নাম এমনকি ঠিকানাও একই হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই ভুলটি আমার দ্বারা হয়ে গিয়েছিল। তবে পরে বিভিন্ন মারফত জানতে পারায় ভুল সংশোধন করে প্রকৃত আসামিকে ধরা হয়েছে এবং নিরপরাধ ব্যক্তিকে মুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান বলেন, সবকিছু মিল থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে নিরপরাধ ব্যক্তির স্বজন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকে বিষয়টি জানানোর পর আসামি সম্পর্কে সিডিএমএস চেক করা হয়। এরপর প্রকৃত আসামিকে ওই এলাকার গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই মুক্তি দেওয়া হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক সরদারকে।#

এডটি: আরজা/০৯

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট