বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি…………………………………………………
রাজশাহীর তানোরে অর্থের বিনিময়ে গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আব্দুল বারিক উপজেলা সেচ কমিটি ও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ও ইন্সপেক্টর বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ করেছেন। তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ৮২ নম্বর প্রাণপুর মৌজার প্রাণপুর মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুটি পক্ষ মারমূখি অবস্থানে রয়েছে। ফলে এখানে সংযোগ দেয়া হলে খুন-জখম বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় গ্রামের সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সংযোগ দেয়া হলে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয় তাহলে তার দায় নিবে কে ?
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোরের প্রাণপুর মাঠে আব্দুল বারিকের গভীর নলকূপ স্কীমের মাঝে সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধভাবে মটর স্থাপন করা হয়েছে। প্রাণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম অবৈধ মটর স্থাপন করে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগমের নামে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছেন।
এদিকে তানোর পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণ ঘটনা স্থল পরিদর্শন না করেই, অবৈধ সুবিধা নিয়ে মটরে বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ করেছেন বলে আলোচনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেন। পরিপত্রে বলা হয় বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট মোকাবেলায় সেচ মটর স্থাপন নিরুৎসাহিত (বন্ধ) করে তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেচ কমিটিকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। অথচ সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে অবৈধ সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির এক সদস্য বলেন, যেখানে মটর বসানোর সুযোগ নেই, সেখানে মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কিভাবে ? এবিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুতের পরামর্শে তারা মটর স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ইতমধ্যে ধাপে ধাপে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই, বিদ্যুৎ সংযোগের তো প্রশ্নই উঠেনা। তিনি বলেন, অবৈধ মটরগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পল্লী বিদ্যুৎকে বলা হয়েছে, তবে তারা আমাদের কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না বরং সংযোগ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোরের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এখানো অভিযোগ হাতে পাননি, তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে তানোর পল্লী বিদ্যুতের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, সংযোগ দেয়া হলে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তাহলে সংযোগ দিবো কিভাবে ?। তিনি বলেন, আপাতত সংযোগ দেয়া হবে না।#