1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আত্রাইয়ে বাতাসে দুলছে হলুদ-সোনালী রঙের থোকা থোকা সোনাঝরা সোনালু ফুল পঞ্চগড়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তেমন পড়েনি ইসরাইলের বন্দরে হামলার হুমকি ইয়েমেন হুথিদের চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতার দাপট কুষ্টিয়ায় খোকসায় গড়াই নদ থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরার শ্যামনগর ছোট ভেটখালীতে সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পলাশবাড়ীতে পৌর বিল্ডিং কোড অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় ইটবোঝাই ট্রাক্টরের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত টিএমএসএস এনজিও’র হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আত্রাই কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নেসকো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরণের আন্দোলনের ডাক দিতে যাচ্ছে এলাকাবাসি

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৫১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান, গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধি……………………………………

রাজশাহীর গোদাগাড়ী নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, ওদুর্নীতির, স্বেচ্ছাচারিতা কর্তব্যে চরম অবহেলা ও গ্রাহকদের বিনা ককারণে চরম হয়রানির অভিযোগ আনার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সে সাথে এলাকাবাসি একটা বড় ধরণের আন্দোলনের  কর্মসূচির কথা ভাবছে অচি্রেই।

এ কর্মকর্তা সময়মতো অফিসে করেন না বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের।। কয়েকদিন ঘুরে যখন এই প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ মেলে, তখন যে কোন কাজের জন্য সেবাগ্রহীতাদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন। নেসকোর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। তারা নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এরপর তদন্ত হলেও তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা জানতে পারেননি অভিযোগকারীরা। নেসকোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী এখনও বহাল রয়েছেন গোদাগাড়ী কার্যালয়ে। এ কারণে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তারা এই প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত জুনে লিখিত অভিযোগ করা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। এতে গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার, নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এসএম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ফজিলাতুন নেসা, প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমদাদুল হক মুকুল ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির তোতা স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলার দায়িত্বে থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ গোদাগাড়ীতে অবস্থান করেন না। থাকেন রাজশাহী শহরের নিজ বাড়িতে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি অফিসে যান। ২-৩ ঘণ্টা অবস্থানের পর আবার শহরে চলে যায়। তাঁর কারণে গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ সেবার মান তলানিতে পৌঁছেছে। নানা সমস্যা নিয়ে সেবাগ্রহীতারা অফিসে গেলে তার সাক্ষাৎ পান না। কয়েকদিন ঘুরে সাক্ষাৎ পেলেও যে কোনো কাজের জন্যই এই প্রকৌশলী ঘুষ দাবি করে থাকেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পৌর এলাকার শ্রীমন্তপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তৈমুর রহমান ৫-৬ দিন ঘুরে প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পান। প্রকৌশলী এই শিক্ষককে গালাগালী করে অফিস থেকে বের করে দেন। একই মহল্লার বাসিন্দা সারোয়ার সবুজ সম্প্রতি বিদ্যুৎ অফিসে গেলে আনসার সদস্যরা তাকে অফিসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। সবুজ প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পাননি। অভিযোগকারীরা বলেছেন, যে কোনো কাজের জন্য দাপ্তরিক খরচের বাইরেও এই প্রকৌশলীকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়। উপজেলা সদরের বিকাশ চন্দ্র শিং নামের এক ব্যবসায়ী নতুন সংযোগের জন্য গেলে তার কাছে বাড়তি টাকা দাবি করেন প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ। অতিরিক্ত টাকা না দিতে পেরে বিকাশ এখনও সংযোগ পাননি।

এই বিদ্যুৎ অফিসের সার্ভেয়াররাও ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পুনরায় নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। থ্রি ফেজের সংযোগের জন্যও লোড অনুযায়ী ঘুষ দিতে হয় বিদ্যুৎ অফিসে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশোনার সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন রায়হানুল ওয়াজিদ। সরকারের বদনাম করানোর জন্য নামাজের সময় তিনি ইচ্ছে করে লোডশেডিং করেন। লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে নাগরিকদের আগাম কোন বার্তাও দেওয়া হয় না। অফিস ফাঁকি দিয়ে তিনি শহরে তাঁর বাবার হার্ডওয়্যার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তারা এই প্রকৌশলীকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

নেসকো বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর দুইদফা তদন্ত হয়েছে রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে। তবে অভিযোগকারীরা বলছেন, তদন্তের বিষয়ে তাদের কিছু জানানোই হয়নি। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সেটিও জানানো হয়নি।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত হলে তো অভিযোগকারীদের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এ রকম কিছুই হয়নি। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে তদন্ত হয়! আসলে আমাদের অভিযোগগুলো ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ বলেন,‘আমার অফিসের ব্যাপারে কথা বলতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তা না হলে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি কোন কথা বলব না। এরপরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার ফোন করা হলে তিনি আর ধরেননি।

জানতে চাইলে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বুধবার বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি গত জুলাই মাসে। তার আগে প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে একবার তদন্ত হয়েছে। আমি আসার পরেও একবার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট