বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান গুনছে উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা। উৎপাদন খরচের চেয়ে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কম হওয়াতে চাষীদের বিঘাপ্রতি লোকসান হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা । লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির দাবিতে বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলীপি দিয়েছেন চাষীরা।
বৃহসপতিবার (০২-০১-২০২৪) দেওয়া স্বারকলীপিতে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলার সফল চাষী শফিকুল ইসলাম। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, এবছর উপজেলায়১৮৪০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১,১০,০০০(একরক্ষ দশ) হাজার টাকা থেকে ১,২০,০০০(এক লক্ষ বিশ) হাজার টাকা। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ মণ। বর্তমান বাজার মূল্যে যার দাম ৫৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এই হিসেবে বিঘা প্রতি লোকসান হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা।
পেঁয়াজ চাষী আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছর পেঁয়াজের বাজার মুল্য ভালো হওয়ায় এ বছর ৭০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। কিন্তু বর্তমানে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কারনে দেশি পেঁয়াজের মুল্য কমে গেছে। এর ফলে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনছি।
চাষী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে উপজেলার চাষীরা এবারও লাভের আশায় ছিলেন। এবছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের বীজ উচ্চ মূল্যে ক্রয় করতে হয়েছে। পেঁয়াজ চাষের পর বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হওয়াতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। তার পরেও বাজার মূল্যে কম। এবার তিনি ৪বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। উৎপাদন আর বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রিতে লোকসান হবে। আমদানি বেশী হলে দামও কমে যায়। তার দাবি,বিদেশ থেকে এখনও পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে চাষীরা ন্যায্য মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি চাষীদের। স্বারকলীপি প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মী আক্তার স্বারকলীপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য রাজশাহীর কৃষি বিপণন কার্যালয়ের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফরিন হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিফ করেননি।#