কারা এই শক্তিশালী রকেট হামলা চালিয়েছে আইসিআরসি তা জানায়নি তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স-এ একটি বিবৃতিতে বলেছে, শেলগুলো ‘আইসিআরসি অফিসের কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’।
এতে বলা হয়েছে, হামলার পর ২২ জনের মৃতদেহ এবং আহত ৪৫ জনকে কাছাকাছি একটি রেডক্রস ফিল্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে ‘আরো হতাহতের খবর’ রযেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোলাবর্ষণে ২৫ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে। তারা ইসরায়েলকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, আইসিআরসি ঘাঁটির আশেপাশে অবস্থিত ‘আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু লক্ষ্য করে ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন মুখপাত্র এই ঘটনায় কোনো ভূমিকা স্বীকার করেন নি তবে বলেছেন যে এটি ‘পর্যালোচনাধীন’।
মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকায় আইডিএফ-এর হামলা চালানোর কোনো ইঙ্গিত নেই। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
আইসিআরসি বলেছে’ ‘শুক্রবার বিকেলে রেডক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির অফিস ও বাসভবনের কয়েক মিটারের মধ্যে ভারী-ক্যালিবার প্রজেক্টাইল অবতরণ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে, ‘মানবিক কাঠামোর কাছাকাছি এত বিপজ্জনকভাবে হামলা চালানো হয়,যা বেসামরিক নাগরিক এবং রেডক্রস কর্মীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, আইসিআরসি অবস্থান সম্পর্কে সংঘাতের পক্ষগুলো সচেতন এবং যেগুলো রেড ক্রসের প্রতীক দিয়ে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’