ছবি: শাহিন আলম লিটন
# শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি……………………………
দিন আসে, দিন যায়। বেতন-ভাতা পান না শিক্ষক-কর্মচারীরা। দেখতে দেখতে আশার বাণীতেই কেটে গেছে ২২ বছর। দীর্ঘ প্রায় দু’ যুগ স্কুলটি এমপিওভুক্ত না হলেও বন্ধ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাশ্রমেই চলছে স্কুল।কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের এসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ ২২ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। কবে হবে, হবে কি না তাও অজানা শিক্ষক-কর্মচারীদের।
নন এমপিওভুক্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দীর্ঘ প্রায় দু’ যুগ ধরে। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তেমনই শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত এসব শিক্ষকের কেউ কেউ জীবন জীবিকার তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউবা কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের আশায় স্কুলটিতে পড়ে আছেন। তবে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করলেও দেখার কেউ নেই।
অন্যদিকে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেই অগণিত শিক্ষার্থী জ্ঞানের আলোয় আলোকিত সমাজের নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও প্রতিষ্ঠিত অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক উজির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এবং আমরা কয়েকজন শিক্ষিত বেকার উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটানোর লক্ষে্য ২০০০ সালে ৫২ শতক জমিতে এসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই স্কুলটি পড়াশুনার দিক থেকে উপজেলায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু বিগত ২২ বছরেও স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা তদবির করেও কোন লাভ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বেতন না পেয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবারগুলো। তবুও শত অভাব অনটনের মধ্যেও শিক্ষকরা বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে তৈরি করছে আলোকিত মানুষ। স্কুলটির শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, আসলেই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। স্কুলটির নাম সুপারিশ করা হয়েছে। ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হবে।#
এডিট: আরজা/৭