সবুজনগর ডেস্ক…………………………………..
ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে নতুন করে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনসহ প্রতিবেশি মলদোভাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা রাশিয়াকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তারা বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে রাশিয়ার কয়েক সপ্তাহের বোমা হামলায় দেশটির বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল। নতুন করে এ হামলা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলেছে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই শীতে ইউক্রেনবাসীর জীবনরক্ষাই হবে মূল অগ্রাধিকার। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি জাতিসংঘের কাছে এ হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, রুশ বাহিনী দেশজুড়ে ৭০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে এবং হামলাকারী ড্রোন মোতায়েন করেছে।
এ হামলার কারণে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাজধানী কিয়েভেও পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই।
জেলেনস্কি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আমাদের তাপমাত্রা যখন শূন্য ডিগ্রির নিচে তখন অসংখ্য লোক বিদ্যুৎহীন, তাপছাড়া, পানিছাড়া জীবন কাটাচ্ছে। এটি অবশ্যই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে এই শীত লাখ লাখ লোকের জীবনের জন্যে হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।
এদিকে ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এটি একটি প্রতীকী রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এর আইনগত কোন পরিণাম নেই।
কিয়েভ মাসের পর মাস ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিল।
এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন জেলেনস্কি। তবে স্ট্রাসবার্গ পার্লামেন্টের এ সিদ্ধান্ত সম্ভবত রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করবে।# সূত্র: বাসস