সাগর নোমানী…………………………………………………..
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক বাংলাদেশ পুলিশের ঐতিহ্যবাহী ইউনিট ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), ঢাকায় উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন।
উল্লেখ্য, পুলিশ কমিশনার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি পুলিশি সেবাকে তিলোত্তমা মহানগর রাজশাহীবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সনাক্তকরণে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন নীতি ও বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে রাজশাহী মহানগরী হয়েছে নিরাপদ নগরী, কমেছে অপরাধ, মামলা তদন্তের মানের উন্নতি ঘটেছে এবং বেড়েছে সাজার হার । তিনি তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী ও প্রাজ্ঞ নির্দেশনায় জননিরাপত্তা প্রতিবিধানে অসাধারণ মেধা ও যোগ্যতার সম্মিলন ঘটিয়েছেন। ফলে তারঁ কর্মকালে রাজশাহী মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটার মত উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এর মত অত্যাধুনিক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। রাজশাহী মহানগরীতে ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সমগ্র মহানগরী নজরদারির আওতায় এসেছে, যার ফলে অপরাধ প্রতিরোধ ও সনাক্তকরণ সহজ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে অবিস্মরণীয় করতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে তিনিই রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে স্থাপন করেছেন পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহী, যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে শুভ উদ্ধোধন করেছেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় “মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ” নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সম্মানিত পুলিশ কমিশনার তাঁর কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মস্থলে যেভাবে সাফল্যস্মৃতি রেখেছেন, ঠিক সে আঙ্গিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশেও অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। তাঁর সকল পুলিশি এবং মানবিক উদ্যোগসমূহ রাজশাহী মহানগরবাসীর নিকট অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।#