এ কেএমকামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ শীতকালীন সবজি অল্প সময়ে উৎপাদন করে অধিক লাভজনক হওয়িায় দিন দিন এটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এতে সুদিন ফিরেছে অনেক কৃষকের। এই ফুলকপির চাহিদা ও বাজার দুটোই ভাল থাকার কারণে এর চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে। এতে আত্রাইয়ের কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।
বাজারে আসা ফুলকপি-বাঁধাকপি নভেম্বর মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আশানুরুপ দামে বিক্রি হওয়ায় পুঁজির পাশাপাশি দ্বিগুন লাভের আশা করেন কৃষক। তাই স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এটি। ভালো দামের আশায় এবার নভেম্বরের আগেই অক্টোবরর শেষে বাজারে পাওয়া গেছে আগাম জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি। বাজারে চাহিদা থাকায় অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় খুশি আত্রাইয়ের কৃষক। এত অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
শীতের আগাম সবজি বাজারে কে আগে নিতে পারবে সেই প্রতিয়োগিতা শুরু হয়েছে ফসলের মাঠে। আত্রাই পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুড়নইগ্রাম শাক সবজির গ্রাম নামে পরিচিত। এই গ্রামের শতকরা ৯০ জনই কৃষক।গুড়নই গ্রামে আগাম শীতকালীন মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি,সিম, টমেটো,লালশাক,পালং,পুইশাক,লাফাশাক,বরবটিসহ এলাকার কৃষকেরা বাজারে তাদের সবজি বিক্রি করছেন। নওগাঁর আত্রাইয়ে এখন ফুলকপির মৌসুম অর্থাৎ শীত মৌসুমের প্রধান সবজি ফুলকপি-বাঁধাকপি।
আত্রাইয়ের সাহেবগন্জ বাজার এলাকার কৃষক বাবু মিয়া বলেন, প্রতিবছর আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদ করছি। আগাম সবজি চাষ করা কষ্টসাধ্য হলেও দ্বিগুন লাভ হয়। এবার চারার দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদনে প্রতিবিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘায় সবজি চাষের খরচ বাদ দিলে বিঘা প্রতি এক লক্ষ টাকার বেশি লাভ হয়।
গুড়নই গ্রামের কৃষক মোঃ ইসাহাক আলী বলেন, প্রতিবছর তিনি আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।আগাম ফুলকপি চাষ করে একই গ্রামের গ্রামের কৃষক মোঃ মোস্তফা, মোঃ সাইফুল ইসলামের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। বাজারে ভালো দাম এবং ভালো ফলনে আগাম ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তারা।
গুড়নই গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস মিঠু জানান, স্থানীয় কৃষি খামার মালিক হতে ফুলকপি জাত-মার্বেল ও আলি স্পেশাল বীজ সংগ্রহ করে ৫ বিঘা জমি চাষ করি। চারা রোপনের ৪৫-৫০ দিন পর থেকে খেতের ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রি শুরু করেছি।#