বিশেষ প্রতিনিধি………………………………….
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপি ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে গণ সমাবেশের আহবান করেছে। কর্মসূচী অনুযায়ী তারা ডিএমিপির অনুমতি পেয়েছে সমাবেশ করার। দুপুর দুটা থেকে সমাবেশ শুরু হবে বলে পার্টির এক প্রেস নোটে জানা গেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামলীগের অঙ্গ সংগঠন যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বায়তুল মোক্কারমের উত্তর পাশে শান্তি সমাবেশ করবে বিকাল ৩টা থেকে। যা অনেকটা পাল্টা পাল্টি সমাবেশের মতই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে বিএনপি রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের আহবান করে ২৭ জুলাই।সে মোতাবেক ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি পেয়েছিল। বিএনপির এধরণের সমাবেশের ঘোষণার পর পরই আওয়ামীলীগও পাল্টা কর্মসূচী দিয়েছিল। কর্মসূচী অনুযায়ী আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ করার কথা ছিল বাণিজ্য মাঠে।অবশ্য বিএনপি তারিখ পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার ঐ একই স্থানে অর্থাৎ নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ বাণিজ্য মাঠে সমাবেশ করতে পারছে না। কারণ রাষ্ট্রপতির সেখানে একটি প্রোগ্রাম রয়েছে।একারণে তারাও শুক্রবারেই শান্তি সমাবেশ করার কর্মসূচি দিয়েছে এবং শান্তি সমাবেশ করবে বায়তুলমোকাররমের উত্তর পাশের সড়কে।এতথ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুব লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছে।
একই দিনে একই সময়ে পাশাপাশি এলাকায় প্রধান দু’ রাজনৈতিক দলের বিশাল সমাবেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে এসমাবেশ নিয়ে জনমনে আতংকও রয়েছে। অনেকে বিশৃংখলা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশংকা করছে। যদি এমনটি হয় তবে প্রশাসন আদৌ সমাবেশ করতে দিবে কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অপর দিকে এনিয়ে প্রশাসন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে। সারা ঢাকা শহর রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সংঘাতের আশংকাও রয়েছে অনেকাংশে।
আওয়ামী লীগ এর অংঙ্গ সংগঠনে নেতারা ধারণা করছে দেশের প্রত্যয়ন্ত অঞ্চল থেকে আসা ৪/৫ লাখের জনসমাবেশ ঘটবে। আর বিএনপি মনে করছে তাদের সমাবেশে ৫ লাখের অনেক বেশি লোকের সমাবেশ ঘটবে। যদি তাই হয় তবে লোকে লোকারণ্য ঢাকায় পা ফেলার জায়গা থাকবে না। অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনকে ভাবতে হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)র রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকরা আরো আগে থেকে ঢাকায় জমায়েত হচ্ছে। তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিবে এক প্রেস কনফারেন্সে দাবি করে বলেন, তাদের নেতা কর্মীদেরকে ডিএমপি পুলিশ হোটেলে তল্লাশী চালিয়ে গ্রেফতার করছে, এটা ঠিক নয়। তারা মনে করছেন সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ এমনটি করছে।এতে করে বিএনপির নেতা কর্মীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। এব্যাপারে পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ঢাকায় অতিরিক্ত আরো কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের আগমনে নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ তথা আইন শৃংখলা বাহিনীকে নিশ্চিততো করতেই হবে। #