মোঃ ফিরোজ আহমেদ, আত্রাই প্রতিনিধি……………………………………………….
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাট গুলোতর বেড়েছে ধানের সরবরাহ। আর সরবরাহ বাড়ায় গত ৩ দিনের ব্যবধানে মন প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমে ধান কিনছেন মিলাররা। এমন অভিযোগ ধান চাষিদের। চাষীদের আরো অভিযোগ ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় কাঙ্খিত দর থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রান্তিক চাষিরা বিক্রির জন্য হাটে তোলেন উৎপাদিত ধান। এতে গেল সপ্তাহ থেকে আত্রাইয়ের ভবানীপুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে যোগান বেড়েছে সব ধরনের ধানের। ধানের জোগান বাড়াই ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে চাষীদের। গত তিন দিনের ব্যবধানে মন প্রতি দর কমেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
মহাদিঘী গ্রাম এলাকা থেকে ধান বিক্রয়ে আসা নিজাম উদ্দিন, রসুলপুর এলাকার কৃষক বাবুল উদ্দিন জানান,এবার সার, লেবার সহ কৃষি খরচ অনেক বেশি। তাই প্রথম পর্যায়ে ধানের বাড়তি দরে কিছুটা পোসাচ্ছিল । কিন্ত গত কয়েক দিনের ব্যাবধানে আবারো দর কমায় লস হচ্ছে আমাদের কৃষকদের। ধান চাষীদের মধ্যে আরো বেশ কয়েকজন জানান আত্রাইয়ের বিভিন্ন হাটে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ থেকে ১২৮০ টাকা | ধান থেকে চাল করতে খরচ পড়ছে সর্বোচ্চ ৫৫-৬৫ টাকা। কিন্তু সেই চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় | ধান থেকে চালের ফারাক রয়েছে প্রায় ১০ টাকা। কৃষকরা আরো বলেন হাটগুলোতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত দর বেঁধে দিয়ে ধান কেনায় তাদের ইচ্ছে মত লাভ তারায় করে থাকেন ।
এদিকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভবানীপুর হাটের জুয়েল খান ও বয়তুল প্রামানিক বলেছেন ধানের যোগান বাড়ায় মোকামে কিছুটা দাম কমেছে তাই মোকামের চাহিদা মতাবেক কিছুটা কম দরে ধান কিনছেন তারা। অপর দিকে ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান জানান, বড় বড় প্রতিষ্টান গুলো ধানের দর কমে দিয়েছে তাই কম দরে কিনতে হচ্ছে তাদের । আত্রাইয়ের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায় স্বর্ণা ৫ /১২৫০ টাকা, নাজিরশাইল ১৫৫০ টাকা, কাটারিভোগ ১৬৫০ টাকা গোল্ডেন আতপ ১৯০০ টাকা সুগন্ধি ৯০/ ১৯৫০ টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে।#